মঞ্চ ও টেলিভিশনের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী শমী কায়সার আবারও বিয়ে করেছেন। বরের নাম রেজা আমিন। যিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
পরিণয়ের আগে উভয়েই ভালো বন্ধু ছিলেন। সেই বন্ধুত্ব থেকেই একে অপরের প্রতি ভালো লাগা এবং বিয়ে। বিয়েতে দুই পক্ষের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন বলে শমী কায়সারের ঘনিষ্ট এক মিডিয়াকর্মী নিশ্চিত করেছেন।
শমী কায়সারের তৃতীয় বিয়ে এটি। এর আগে ১৯৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের চিত্রনির্মাতা রিঙ্গোকে বিয়ে করেন শমী কায়সার। তাদের সংসারের স্থায়িত্ব ছিল দুই বছর। নানা কারণে তাদের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে গেলে সেই বিয়ে ভেঙে যায়। এরপর শমী বিয়ে করেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আরাফাতকে।
শমী ১৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শহীদুল্লাহ কায়সার ও মাতার নাম পান্না কায়সার। তার মা পান্না একজন লেখিকা এবং সাবেক সংসদ সদস্য। শমীর একজন ছোট ভাই আছেন, অমিতাভ কায়সার।বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দুজা চৌধুরীর স্ত্রী মায়া পান্নার বোন। ফলে, শমী এবং রাজনীতিবিদ মাহি বি. চৌধুরী খালাতো ভাই-বোন।
কর্মজীবন
১৯৮৯ সালে পরিচালক আতিকুল হক চৌধুরী এমন একজন মেয়ে খুঁজছিলেন, যে কিনা নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে পারে, তার নাটক কেবা আপন কেবা পর এ অভিনয়ের জন্যে। এর ফলে শমী প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পান। এরপর তিনি ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাস অবলম্বনে এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় তিন পর্বের ধারাবাহিক নাটক যত দূরে যাই এ অভিনয় করে পরিচিত লাভ করেন। তারপর তিনি বহু নাটকে যেমন, নক্ষত্রের রাত, ছোট ছোট ঢেউ, স্পর্ষ, একজন, অরণ্য, আকাশে অনেক রাত, মুক্তি, অন্তরে নিরন্তরে, স্বপ্ন, ঠিকানা সহ বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করেন।
চলচ্চিত্র অভিনয়
শমী ঢাকা থিয়েটারে ১২ বছর ধরে কাজ করেন। তিনি শহীদুজ্জামান সেলিমের সাথে হাত হোদাই নাটকে অভিনয় করেন। লালন (২০০৪),হাছন রাজা র মত সিনেমায় তাকে অভিনয় করতে দেখা যায়। চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জীবনী নিয়ে নির্মিত দ্য নেম অব এ রিভার (২০০২) সিনেমায় তিনি অভিনয় করেন।
এছাড়া শমী একজন প্রযোজক। তিনি ১৯৯৭ সালে তার নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধানসিড়ি প্রোডাকশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের প্রযোজনায় মুক্তি এবং অন্তরে নিরন্তরে নাটক নির্মিত হয়। ২০১৩ সালে নভেম্বরে তার প্রতিষ্ঠান, ধানসিড়ি কমিউনিকেশন লিমিটেড, রেডিও অ্যাক্টিভ নামে একটি বেতার কেন্দ্রের জন্য লাইসেন্স পায়।