সারা দেশে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে। শহর ও গ্রামে এক লাখ দুই হাজার স্থায়ী কেন্দ্রে আগামী ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
আজ বুধবার ঢাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এ বছর প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। দুই লাখ ৯৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবেন। এবার কোনো ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র থাকছে না। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একেক দিন একেক কেন্দ্রে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তিন দিন আগে স্থানীয় প্রশাসন এই সূচি ঘোষণা করবে।’
৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সের সকল শিশু, তারা কোভিড পজিটিভ হোক বা নেগেটিভ, তাদের ভিটামিন এ খাওয়াতে হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান।
শুধুমাত্র শিশুর যদি শ্বাসনালীর অসুস্থতা বা শ্বাসকষ্ট অথবা অন্য কোন মারাত্মক অসুস্থতা থাকে তবে শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়ানো যাবে না।
৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টি নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমতো ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে শিশুকে ভিটামিন খাওয়ানোর সময়ে স্বাস্থ্যকর্মীকে অবশ্যই মেডিকেল মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কেন্দ্রে অবস্থানকালে স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা ঘন ঘন সাবান ও পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে নেবেন। সংক্রমণের ভয় থাকলে কোন অভিভাবক স্বাস্থ্যকর্মীর নির্দেশনা মেনে নিজ হাতেই কেন্দ্রে বসে তার শিশুকে ভিটামিন খাওয়াতে পারবেন।