এবছর ৫০এ পা দিলো বাংলাদেশ। উদযাপন হবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগে স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছরেই বাংলাদেশের অর্জন ও অগ্রগতি নজর কেড়েছে সারা বিশ্বের। বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী উৎসব পালন করতে চায় সরকার। আর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন বছরে ১৪ হাজার গৃহহীন মুক্তিযোদ্ধাকে বাড়ি তৈরি করে দেয়া হবে।
১৯৭১ থেকে ২০২১, স্বাধীনতার ৫০ বছর। উন্নয়নের মহাসড়কে দ্রতগতিতে ধাবমান বাংলাদেশের জন্য এ এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। প্রত্যাশা আছে বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে ঘটা করে স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী উদযাপনের। তবে সব কিছুই এখন নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।
এরই মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তীতে আমন্ত্রন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও দেখিয়েছেন আসার আগ্রহ।
পাকিস্তানীদের বর্বর আক্রমণে মুক্তিযুদ্ধে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় বাংলাদেশ । এদেশকে তলাবিধিনীন ঝুড়ি আখ্যা দেয় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। কিন্তু ৫০ বছর পরে বাংলাদেশ অর্থনীতির সব সূচকে দূর্দান্ত অবস্থানে। প্রশংসায় সারা বিশ্ব।
এ এক দারুণ অর্জন, বলছেন ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসীর মামুন। তবে উন্নয়নকে টেকসই করতে জ্ঞানভিত্তিক জাতি গঠনে গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ তার।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আরও আগেই সামিল হতো উন্নত দেশের কাতারে, বললেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।
গৃহহীন মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে হাসি ফোটাতে এবছরই তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে, জানান মন্ত্রী। ফ্রেব্রুয়ারিতে শুরু হবে এই প্রকল্পের কাজ।
স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী উদযাপনে গঠিত হয়েছে বিশেষ মন্ত্রিসভা কমিটি। দেশের তরুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, তাই স্বাধীনতার চেতনা ও দেশবিরোধীদের ষড়যন্ত্র নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সুবর্ণজয়ন্তীতে বছরজুড়ে নেয়া হবে নানা উদ্যোগ।