ডেস্ক নিউজ
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আজকের বাংলাদেশ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, তার মূল ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। এখন থেকে ৫০ বছর আগেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি গড়ে দিয়ে গেছেন। কৃষি, ব্যাংক-বীমা, বিদ্যুৎ-যোগাযোগ, সব বিষয়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা দিয়ে গেছেন তিনি। গতকাল ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন : শিল্প ও বাণিজ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে এই আয়োজন করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এমপি, সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ ও এ কে আজাদ। এতে সমাপনী বক্তব্য দেন, এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের মুক্তির জন্য বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ-বাকশাল করেছিলেন। তিনি কেবল বাংলাদেশের নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন আন্তর্জাতিক নেতা। জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার শুধু ব্যবসায়ীবান্ধব নয়, তিনি শ্রমিকবান্ধবও। আবার ব্যবসায়ীরা যুক্তিসঙ্গত যা চান, প্রধানমন্ত্রী তাই করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা দেশের উন্নয়নে সব বিষয়ে সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা করে গেছেন। ষড়যন্ত্রকারীদের নির্মম হত্যাযজ্ঞে, বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের অকাল প্রয়াণে সদ্য জন্মানো রাষ্ট্রের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়েছে। কিন্তু ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার সুযোগ্যকন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে, উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেন, এখনো সরকারি যেসব পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়, সেগুলো জাতির পিতার দিয়ে যাওয়া নির্দেশনার আলোকেই বাস্তবায়িত হচ্ছে। উন্নয়ন দর্শন, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু এখনো বেঁচে আছেন বাংলাদেশের প্রতিটা অগ্রযাত্রায়।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী বাস্তবতায় পাকিস্তানিদের ফেলে যাওয়া কলকারখানা জাতীয়করণ করেছেন, কিন্তু দেশ স্থিতিশীল হওয়ার পরে, সরকারি- বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একটি ভারসাম্যমূলক অর্থনীতি গঠন করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন।
স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পুনর্গঠনে মনোযোগ দিয়েছিলেন, যখন তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা আর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই এ দেশীয় অপশক্তির ঘাতকের বুলেট কেড়ে নেয় বাঙালির মুক্তির কান্ডারি শেখ মুজিবুর রহমানকে।