ডেস্ক নিউজ
দেশের ৬০ জেলায় বেসরকারি উদ্যোগে হাসপাতাল স্থাপন করলে ১০ বছরের কর অব্যাহতি পাওয়া যাবে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম ছাড়া দেশের বাকি জেলাগুলোতে দেওয়া হবে এ সুবিধা।
তবে সাধারণ শয্যার হাসপাতালগুলো অন্তত ২৫০ শয্যার হতে হবে। সেগুলোতে অবশ্যই শিশু ও নবজাতক, নারী ও মাতৃস্বাস্থ্য, অনকোলজি, ওয়েল বিং ও প্রিভেন্টিভ মেডিসিড ইউনিট থাকতে হবে।
এছাড়া কর অব্যাহতি সুবিধার আওতায় বিশেষায়িত শয্যার হাসপাতাল স্থাপন করলে সেগুলো অন্তত ২০০ শয্যার হতে হবে। এগুলোর জন্যও কিছু শর্ত থাকবে।
২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট পেশকালে এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সুলভ এবং মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবার অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের ভূমিকা অতিমাত্রায় শহরকেন্দ্রিক। তাই সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবাকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামের বাইরে সহজলভ্য করার লক্ষ্যে এ খাতে কর প্রণোদনার প্রস্তাব করেছেন তিনি।