ডেস্ক নিউজ
অগ্নি দুর্ঘটনায় বিস্ফোরণের সাড়ে চার মাস পর ৯ শর্তে রফতানি পণ্য ব্যবস্থাপনার সাময়িক অনুমোদন পেয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত বিএম কনটেইনার ডিপো।
মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটিকে তিন মাসের অনুমোদন দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তবে শর্তগুলো প্রতিপালন করা না হলে তিন মাস পর এই অনুমোদন বাতিল হয়ে যাবে বলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চিঠিতে উল্লেখ করেছে।
শর্তগুলো হচ্ছে-বন্দরের অনাপত্তি, ডিপো-সংশ্লিষ্ট সব ধরনের নীতিমালা প্রতিপালন, অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, বিপজ্জনক পণ্য ব্যবস্থাপনার নীতিমালা বাস্তবায়ন ইত্যাদি।
বিএম ডিপোর মহাব্যবস্থাপক নুরুল আকতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পোশাক খাতের রফতানি পণ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমাদের অনুমোদন দিয়েছে। বুধবার থেকেই এই রফতানি পণ্য ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কাস্টমসের শর্ত অনুযায়ী দুর্ঘটনার পর থেকে ডিপোতে সংস্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হয়েছে। আগুন নেভাতে পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপনের কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুন দিনগত রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর একের পর এক বিস্ফোরণে তা ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে প্রথমে ৪১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশ উদ্ধার ও হাসপাতালে মৃত্যু নিয়ে সর্বমোট ৫১ জনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ১০ জনই ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। আহত হন দুই শতাধিক ব্যক্তি।
অগ্নিবিস্ফোরণে ডিপোর একাংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। দুর্ঘটনায় রফতানি পণ্যবাহী ১৫৪ কনটেইনার ও আমদানি পণ্যবাহী দুটি কনটেইনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনার পর বিএম ডিপোর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে অন্য ডিপোগুলোতে চাপ পড়ায় বিজিএমইএ, চট্টগ্রাম চেম্বার ও ডিপো সমিতি বিএম ডিপোতে আমদানি-রফতানি পণ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দিতে চিঠি দেয় এনবিআরের কাছে।
এনবিআর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অনুশাসন প্রদান করলে বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষও সংস্কার কার্যক্রম ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার অগ্রগতি তুলে ধরে সব ধরনের কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন চেয়ে কাস্টমসে দুই দফায় আবেদন করে। এরপরই স্বল্প সময়ের জন্য বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষকে পোশাক খাতের রফতানি পণ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।