ডেস্ক নিউজ
প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে যুবা টাইগাররা।
পচেফস্ট্রুমে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৬ উইকেটে জেতে বাংলাদেশ। ২১২ রান ছাড়িয়ে গেছে ৩৫ বল বাকি থাকতেই। টানা নবম জয় পেল বাংলাদেশ। যুব ওয়ানডেতে এটাই তাদের সেরা ধারাবাহিক ফল। ২০০৫ সালে টানা আট ম্যাচ জিতেছিল তারা।
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে শক্তিশালী ভারতের। প্রতিবেশি দেশটি চিরশত্রু পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল।
২১১ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ দেখেশুনে শুরু করেছিল। কিউই পেসারদের তোপে ৩২ রানেই ২ উইকেট হারায় টাইগাররা। দুই ওপেনার তানজিদ ৩ রানে এবং পারভেজ ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেন। এরপর তৃতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসান জয় আর তৌহিদ হৃদয় ৬৮ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে দেন। ৪০ রান করে তৌহিদ আউট হলে ভাঙে এই জুটি। অন্যদিকে জয় তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তার সঙ্গে যোগ দেন শাহাদত হোসেন। এই জুটিতেই জয়ের পথে হাঁটতে থাকে টাইগাররা।
১২৫ বলে তিন অংকে পৌঁছে যান মাহমুদুল। চাপের মুখে ব্যাট হাতে নেমে এই অনন্য সেঞ্চুরি করার পরেই বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে যান তিনি। দল তখন জয় থেকে ১১ রান দূরে। মাহমুদুলের ইনিংসে ছিল ১৩টি বাউন্ডারি। শেষে তৌহিদ হৃদয় আর শাহাদত হোসেন দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ইনিংসের তখনও ৫ ওভার ৫ বল বাকি। শাহাদত হোসেন অপরাজিত থাকেন ৪০* রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২১১ রান তোলে কিউইরা। ফিল্ডিংয়ে নেমেই কিউইদের চেপে ধরেছিল টাইগার যুবারা। দলীয় ৫ রানেই শামিম হাসানের বলে ক্যাচ তুলে দেন রেইস মারিউ (১)। এরপর রকিবুল হাসানের শিকার ওজে হোয়াইট (১৮)। ফার্গুস লেমান ২৪ রান করে শামিমের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হলে ৫৯ রানে ৩ উইকেট হারায় কিউইরা। অধিনায়ক জেসি টাসকফকে (১০) ফেরত পাঠান হাসান মুরাদ।
এরপর পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন নিকোলাস লিডস্টোন (৪৪) এবং বি হুইলার ৬৭ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেন। নিকোলাসকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন শরিফুল। হুইলার হাফ সেঞ্চুরি করলেও উইকেটকিপার সানডি ফিরেন মাত্র ১ রান করে। ১৪২ রানে ৬ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। শরিফুলের দ্বিতীয় শিকার ক্লার্ক (৭)। এই পেসারের তৃতীয় শিকার জো ফিল্ড (১২)। ৮৩ বলে ৭৫ রানের অপরজিত ইনিংস খেলেন হুইলার। ৩ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের শরিফুল।