আবু জাফর সিদ্দিকী, সিংড়া:
এক পাশে অবৈধ দখল-দূষণে র্জীণশীর্ণ মরা নদী অন্য পাশে বিল। নদী পাড়ের বসবাসরত পৌর নাগরিকদের ছিলোনা যাতায়াতের সুবিধা। পৌর শহরে বসবাস করেও এ যেন এক অজো পাড়া গাঁ। যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর এই চিত্রটি নাটোরের সিংড়া পৌর শহরের পরানহাটি মহল্লার নদী পাড়ের মানুষের। সম্প্রতি গুড়নই নদীর খনন কাজ শুরু হওয়ায় পাল্টে গেছে সেই চিত্র। একদিকে যেমন মরা নদীর প্রাণ ফিরেছে অন্য দিকে মাটি দিয়ে নদীর পাড় ভরাট করায় তৈরী হয়েছে নতুন রাস্তা। এই রাস্তায় স্বপ্ন দেখছে অবহেলিত পরানহাটি মহল্লাবাসী। তাঁদের দাবি রক্ষনাবেক্ষণের অভাবে যেন নদী গর্ভে রাস্তাটি বিলিন হয়ে না যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সিংড়া পৌর শহরের পরানহাটি ও হাঁসপুকুরিয়ার মাঝে গুড়নই নদীতে ভেকু দিয়ে এগিয়ে চলেছে নদী খনন কাজ। বিলীন হয়ে যাওয়া নদীর পাড় মাটি দিয়ে ভরাট করে তৈরী করা হচ্ছে নতুন রাস্তা। পাল্টে গেছে বসতবাড়ির চিত্র। রাস্তার আশায় বুক বেধেছে নদী পাড়ের মানুষ। র্দীঘদিনের দূর্ভোগের পর ফিরেছে স্বস্তি। এ রাস্তা নির্মাণ হলে, এই মহল্লার মানুষ অতি সহজে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিংড়া বাজারে যাতায়াতের সুবিধা পাবে। অত্র এলাকার শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যাতায়াতের সুবিধা পাবে। পাশাপাশি সেঁচ ব্যবস্থা সুবিধা হবে। এতে এলাকার কৃষকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। এলাকাবাসী বর্তমান সরকারের এমন জনকল্যাণমূলক উন্নয়নকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
পরানহাটি মহল্লার সাজ্জাদ হোসেন, ইঞ্জিঃ শাহাদত হোসেন, আপেল মাহমুদ, সেলিম হোসেন জানান, আমাদের এলাকা অবহেলিত ছিলো, এ এলাকায় রাস্তা নির্মাণ হলে আমরা নির্বিঘ্নে স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ও যাতায়াতের সুবিধা পাবো।
মীর আহম্মেদ ও দেদার নামের দুজন কৃষক জানান, রাস্তা হলে আমাদের ফসল পরিবহণ সহ বিভিন্ন সুবিধা পাবো। সরকারের উন্নয়নের অংশীদার হতে পারবো।
সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী খননের মাধ্যমে রাস্তার কাজ অনেকটাই এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। পরানহাটি মহল্লার জনগনের স্বার্থে প্রশাসনের সহযোগিতায় অবৈধ দখলদারদের নিকট থেকে নদীর পাড় দখল মুক্ত করে নাগরিকদের দূর্ভোগ কমাতে পৌর কর্তৃপক্ষ এ রাস্তাটি নির্মাণ করবে।