ডেস্ক নিউজ
করোনা প্রতিরোধে সর্দি-কাশি-জ্বর-গলাব্যথা-শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ব্যক্তিদের করণীয়।
১. অপ্রতিরোধ্য করোনাভাইরাস রোধ করতে কৌশলই প্রধান।
২. বাড়িতে কেউ সর্দি-কাশি-জ্বর-গলাব্যথায় আক্রান্ত হলে তা পরীক্ষা করা অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ নয়।
৩. অধিকাংশ করোনা সন্দেহযুক্ত লক্ষণ নিজে নিজে বা সামান্য চিকিৎসায় আরোগ্য হয়।
৪. অধিকাংশ (৮০%) ক্ষেত্রেই করোনাজনিত রোগ মৃদু মাত্রার। ফলে ঘরে বসে সামান্য চিকিৎসা গ্রহণই যথেষ্ট।
৫. এমন মৃদু সর্দি-কাশি-জ্বর-গলাব্যথায় আক্রমণের ক্ষেত্রে করোনা না হলেও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংক্রমণ না ছড়াতে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
৬. বাড়িতে কেউ সর্দি-কাশি-জ্বর-গলাব্যথায় আক্রান্ত হলেই সময় ব্যয় না করে তা করোনা হোক আর না হোক, প্রথমেই তাকে একটি ঘরে আলাদা করতে হবে ১৪ দিনের জন্য।
৭. বিষয়টি গোপন না করে ও গুরুত্বপূর্ণ ভেবে চিকিৎসা ও সতর্কতা বিষয়ে আবাসন/এলাকার প্রশাসন ও সেখানে বসবাসকারী/পরিচিত/সরকারি চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে।
৮. এভাবে আলাদা করা ব্যক্তির জন্য আলাদা টয়লেট ও মাস্ক ব্যবহার এবং সতর্কতার সঙ্গে বারবার সাবান দিয়ে হাত-মুখ ধুতে ও আলাদাভাবে খাবার দিতে হবে এবং ব্যবহার্য সাবান পানিতে ডুবিয়ে রেখে ধুতে হবে।
৯. এরূপ আলাদা করা সম্ভব না হলে পুরো পরিবারকেই এমন আলাদা বসবাস করতে হবে ১৪ দিন।
১০. সর্দি-কাশি হলে অ্যান্টিহিস্টামিন–জাতীয় ওষুধ সংগ্রহ করে সেবন করা যায়।
১১. জ্বর ১০০ বা বেশি হলে প্যারাসিটামল–জাতীয় ওষুধ সংগ্রহ করে প্রতি ৬ ঘণ্টায় সেবন করা যায়।
১২. মৃদু সর্দি-কাশি-জ্বর-গলাব্যথার লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির কোনো বাড়তি সুবিধা নেই বরং রোগ ছড়ানো ও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
১৩. তীব্র কাশি ও জ্বর হলে তা দ্রুত করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত হাসপাতালে বা আইইডিসিডিআরে জানাতে হবে।
১৪. জ্বরের সঙ্গে সর্দি-কাশি-শ্বাসকষ্ট থাকলে দ্রুত করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত হাসপাতালে বা আইইডিসিডিআরে জানাতে বা স্থানান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে।
১৫. আগে থেকে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ও বয়স্কদের সম্ভব হলে বাড়িতে আলাদা ঘরে একা থাকার ব্যবস্থা নিতে হবে ও রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে বা পুরো পরিবারকেই পারিবারিকভাবে সবার থেকে আলাদা হয়ে থাকতে হবে।
১৬. আগে থেকে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ আক্রান্ত ও বয়স্করা সর্দি-কাশি-জ্বর-গলাব্যথা-শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে দ্রুত উপযুক্ত চিকিৎসার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
আসুন সচেতনতা ও প্রতিরোধে একে অপরকে সহযোগিতা করি। সবার স্বার্থকে নিজের স্বার্থের ওপরে স্থান দিই। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিই।
অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম: সাবেক ডিন, সার্জারি অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।