নাটোরে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মোট ৪৫৫ ব্যক্তির মধ্যে নির্ধারিত মেয়াদ শেষে ২২৬ জন ব্যক্তি কোয়ারেন্টাইন মুক্ত হয়েছেন। অবশিষ্ট ২২৯ ব্যক্তি বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মীজানুর রহমান জানান, হোম কোয়ারেন্টাইনে দুই সপ্তাহ অবস্থানের পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোয়ারেন্টাইন মুক্ত হতে পারেন। জেলায় এ পর্যন্ত ২২৬ ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইন মুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে ২২৯ ব্যক্তি কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করছেন। তাদের নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য বিভাগ ছাড়াও প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী উদ্বুদ্ধকরণ কাজ করছে।
নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ আনছারুল হক জানান, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত শংকায় বড়াইগ্রাম উপজেলার গুনাইহাটি গ্রামের এক ব্যক্তি এবং নাটোর জেলা কারাগারের এক হাজতিকে ইতোপূর্বে ঢাকায় নেয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদ্বয়ের করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করে নেগেটিভ হওয়াতে তাঁরা নাটোরে ফিরে এসেছেন বলে পারিবারিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন। এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের জনৈক বাসিন্দার শরীরে করোনা ভাইরাসের কিছুটা উপসর্গ থাকায় তাকে গতকাল শনিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফরিদুজ্জামান।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ শাওন জানান, নাটোরে করোনা ভাইরাস সর্তকতা এবং এর নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধ করতে বিশেষ নজরদারি করছে প্রশাসন। হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করাসহ জনসমাগম পরিহার এবং দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। সাতটি উপজেলাসহ জেলায় মোট ১৫টি ভ্রাম্যমান আদালত কাজ করছে।
স্বাস্থ্য বিধি মানা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং দ্রব্যমুল্য স্থিতিশীল রাখতে সচেতনতা সৃষ্টিতে মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণও কাজ করছেন। শনিবার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ সিংড়া উপজেলার খেঁজুরতলা এলাকায় উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহন করেন। জেলার অন্যান্য স্থানে একই দায়িত্ব পালন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় শনিবার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জরুরী অবস্থায় আইসোলেশন সেন্টার, দ্রব্যমূল্য, ঔষধের যোগান ছাড়াও ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে হৃত দরিদ্রদের সহায়তার আলোচ্য সূচী সভায় স্থান পায় বলে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ নিশ্চিত করেন। সভায় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল উপস্থিত ছিলেন।