ডেস্ক নিউজ
মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ে কেউ গুজব ছড়ালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার গণভবন থেকে ৬৪ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়েও ফেসবুক এবং বিভিন্ন অ্যাপসে নানা ধরনের গুজব অনবরত ছড়ানো হয়ে থাকে। নানা ধরনের কথা অনেকে বলে থাকেন। আবার দেশে না, দেশের বাইরে থেকেও কেউ কেউ বলেন। যারা এই ধরনের কথা বলবেন, যদি কেউ মিথ্যা অপপ্রচার করে, তাদের বিরুদ্ধে সাথে সাথে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এ সময় সবাইকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু আমাদের মানুষকে রক্ষার জন্য একেবারে প্রথম থেকে, এমনকি ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন যে সমস্ত নির্দেশনা দিয়েছে, সেই নির্দেশনা যখন আমরা পেয়েছি তার আগে থেকেই আমরা কিন্তু তা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি।’
ঝট করে সব একসাথে বন্ধ করেননি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে, আমরা মানুষকে সুরক্ষিত রাখার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। যার ফলে আজকে ব্যাপকহারে এর প্রাদুর্ভাব ছড়াতে পারেনি। ভবিষ্যতে যাতে না হয়, সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে আমাদের।’
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশের যে অভিজ্ঞাতা দেখছি, অনেক উন্নত দেশকে আমরা দেখছি। সেখানে কত মানুষ মারা যাচ্ছে, সংক্রমিত হচ্ছে, মানুষের দুর্ভোগ দিনের পর দিন বেড়ে যাচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে ভূখণ্ডের দিক থেকে আমরা ছোট, জনসংখ্যার দিক থেকে বিশাল জনসংখ্যা। সেই অবস্থায়ও আমি বলবো আমরা সচেতনতা সৃষ্টি করতে পেরেছি। সে ক্ষেত্রে যারা কাজ করেছেন সকলকে আমি আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
এ সময় প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে যার যার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন বলেই করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘তারপরও আমি বলবো এই সমস্যাটা এখনো যায়নি। এটা সারা বিশ্বব্যাপী রয়ে গেছে যেহেতু, আর আমরা বিশ্ব থেকে তো দূরে না। সবচেয়ে বড় কথা এখন যোগাযোগমাধ্যম আছে। যেকোনো তথ্য দ্রুত পৌঁছানো যায়, তথ্য আমরা দ্রুত পেতে পারি। সে ক্ষেত্রে আমি মনে করি আমাদেরকে আরও সচেতন থাকা দরকার।’
এর আগে সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এ ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়। এতে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) ছাড়াও ভিডিও কনফারেন্সে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় যুক্ত ছিল।