ডেস্ক নিউজ
করোনায় মৃত এক রোগীর লাশ গোপনে হাসপাতাল থেকে নিয়ে চলে গেছে তার স্বজনরা। ৬৩ বছর বয়সী মৃত ওই ব্যক্তি পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায়। আসগর আলী মেডিকেল ওই রোগীকে রাখতে চায়নি। তারপর স্বজনরা মিথ্যা তথ্য (পেটের সমস্যা ) দিয়ে বুধবার দুপুরে তাকে নিয়ে যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয় মুফতি আব্দুল্লাহ নামের ওই রোগীকে। ভর্তির বেশ কয়েক ঘন্টা পর লণ দেখে ডাক্তাররা নিশ্চিত হন তিনি কেভিড-১৯ এ আক্রান্ত।
রোগীর অবস্থা তখন সংকটাপন্ন। এরপর তাকে পাঠানো হয় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে ওই রাতেই মারা যান পুরান ঢাকার ওই রোগী। কিন্ত হাসপাতালের কাউকে কিছু না বলে গোপনে লাশ নিয়ে চলে যায় রোগীর স্বজনরা। সকালে ওই রোগীর রিপোর্ট আসে তার করোনা পজেটিভ। তখন আর রোগীর লাশ, সাথে থাকা আত্বীয় স্বজন সবাই গায়েব। আজ বিকেলে পুলিশের কাছে গেছে এসব তথ্য। তারা এখন হন্নে হয়ে খুঁজছে লাশ আর তার স্বজনদের।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে যেসব স্বজন ওই রোগীকে হাসপাতালে নিলেন তারা কি জানেন না যে এই পরিস্থিতিতে আক্রান্ত ওই ব্যক্তির মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের কয়েক শ’ রোগী, ডাক্তার, নার্স, আয়া, ওষুধের দোকান- দোকানদার, এ্যাম্বুলেন্স-ড্রাইভার এদের কার কার শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়েছেন। লাশ বাসায় নিয়ে জানাজা পড়ে যে দাফন করেছেন সেখানে কে কে আক্রান্ত হয়েছে। শুধু একজন রোগীর তথ্য লুকানোর জন্য কতো মানুষকে আপনারা মারলেন। কেনো এ কাজ করলেন ?
প্লিজ সচেতন হোন। কোন করোনা আক্রান্তের খবর গোপন করবেন না। এটি ছোঁয়াচে রোগ নয়। সময়মতো চিকিৎসা পেলে করোনা আক্রান্ত ৯০ ভাগেরও বেশি রোগী সুস্থ হচ্ছেন।
করোনা উপসর্গ হলেই এখন যেভাবে ঘেন্না করছি। যেভাবে ওই মানুষ তার পরিবারকে ভৎসনা-অপদস্ত করছি তাতেই তৈরি হয়েছে এমন ভয়াল পরিস্থিতি।
সবাই বুঝতে চেষ্টা করুন এই ভাইরাসে আপনি-আমি সবাই আক্রান্ত হতে পারি। আমার পরিবারের কেউ আক্রন্ত হতে পারেন। তখন পরিস্থিতি কি হবে। তাই সবাই মানবিক হোন। মানুষের পাশে দাড়ান। এই মহামারীতে হাসপাতালে কেউ মিথ্যে তথ্য দেবেন না। পুরো দেশকে বিপদে ফেলবেন না।
ধন্যবাদ : ঢাকা মেডিকেলের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজমুল হক মাসুম । তথ্যগুলো জানানোর জন্য।