নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের বড়াইগ্রামে বাল্য বিয়ের অপরাধে কাজী ও কণের বাবা-মাকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার সন্ধায় উপজেলার রহমতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক লিটন সাহা জানান, রহমপুর গ্রামের আনছার আলী (৬০) তার নবম শ্রেণী পড়ুয়া নাবালিকা মেয়েকে (১৫) জনৈক ছেলের সাথে গোপনে বিয়ে দিয়ে দেয়। সোমবার বিকেলে কণের বাড়ি থেকে বর এসে নিয়ে যাবে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ ওই বাড়িতে পুলিশসহ অভিযান চালান। এ সময় বিয়েতে আমন্ত্রীতরা পালিয়ে গেলেও কণের বাবা আনছার আলী, মা ফাতেমা বেগম এবং বিয়ে পড়ানো কাজী শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত জান মোহাম্মদের ছেলে ও উপজেলার দিঘলকান্দি মাদরাসার শিক্ষক আবু সাঈদকে (৪৮) ধরে ফেলেন। পরে সন্ধ্যায় সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে কাজী ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত থাকায় কারাদন্ড না দিয়ে সকলকে একত্রে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এসময় কাজী আবু সাঈদ ভবিষ্যতে আর এমন ধরণের বাল্য বিয়ে না পড়ানো অঙ্গীকার করে মুক্ত হন। এবিষয়ে বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ বলেন, বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে আমাদের কোন ছাড় নাই। গোপনে আগে পরে কেই বিয়ে দিয়ে ফেললেও তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে।