করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে বাংলাদেশ জুয়েলাস সমিতি (বাজুস) ঘেষনা করেন রমজানের ঈদ পর্যন্ত তাদের সকল ব্যকসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এরই ধারাবাহিকতায় নাটোর জেলা জুলেয়ার্স সমিতিও একাত্বতা ঘোষনা করে দোকান বন্ধ রাখে। কিন্তু এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী গোপনে তাদের ব্যাবসা চালিয়ে আসছিলো। এতেই শুরু হয় মালিকদের মধ্যে দ্বন্দ। সরাসরি বিরোধ সৃষ্টি হয় সমিতির নেতাদের সাথে কয়েকজন দোকান মালিকদের। সেই দ্বন্দ নিরসনে ঘটনাস্থলে আসতে হয় প্রশাসনের কর্তাদেরও। পরে সেই বিরোধ মিটাতে সমিতি তাদের এক জরুরী বৈঠকে ডাকেন। সমিতি সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘন্টা করে দোকান খোলা রাখবেন। তবে সেখানে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়। সেই শর্ত ভঙ্গ করে পূনরায় সেই সকল অসাধু ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা চালু রেখেছিল। এতেই শুরু হয় মালিক সমিতির সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ। এরপর বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যালয়ে পূনরায় জরুরী বৈঠকে বসে সমিতির নেতৃবৃন্দ। সেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহন হয় যদি কোন মালিক সমিতির সিদ্ধান্ত অমান্য করে দোকান খোলা রাখে তাহলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে ও কেউ যদি দোকান খোলার সঠিক প্রমান দেখাতে পারে তাহলে তাকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
স্বর্ণকার পট্টির বিধান বল ঘরের মালিক বিধান চন্দ্র দাস, দ্বীপা জুয়েলার্সের মালিক উত্তম কুমার রজক, স্বর্ণবিথী জুয়েলাসের মালিক দেবাশীষ কুমার সাহা, রিপন জুয়েলার্সের মালিক রঘুনাথ কর্মকার সহ আরো অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বড় বড় কিছু ব্যবসায়ী যেমন কারু কাঞ্চন জুয়েলার্স, অনিমা জুয়েলার্স,শ্রী দূর্গা জুয়েলার্স,মায়া কাঞ্চন জুয়েলার্স,বীনা জুয়েলার্স, বিনয় জুয়েলারী স্টোর, সাগর জুয়েলার্স সহ আরো কয়েকটি দোকান মালিক তারা নিয়মিত গোপনে দোকান খোলা রেখে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো। এর প্রতিবাদ করলেও সমিতি কোন পদক্ষেপ নেয়না। কারন তাদের অনেকেই সমিতির নেতৃস্থানীয় এমনকি স্বয়ং সমিতির সভাপতিও রয়েছেন এরমধ্যে। তারা দোকানের সামনের গেট না খুলে পিছন দিয়ে ক্রেতাদের ঢুকিয়ে ব্যবসা করে চলেছেন। এতে করে ছোট ছোট ব্যবসায়ী সহ সৎ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরে তারা জোরালো প্রতিবাদ করলে শুরু হয় মালিকদের মাঝে দ্বন্দ। সৃষ্টি হয় বিরোধ সেই বিরোধ চরম আকার ধারন করলে বিরোধ মিটাতে সমিতির নেতারা জরুরী বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহন হয় সমিতির নিয়ম অমান্য করে দোকান খোলা রাখলেই ৫০ হাজার টাকা জরিমানার। এরপর দিন শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এখনো কেউ তাদের দোকান খোলেনি। এ বিষয়ে নাটোর জেলা জুয়েলার্স সমিতির সাধারন সম্পাদক ভবেশ চক্রবর্তি ভক্ত জানান, সমিতির সদস্যদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জরুরী বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার। এই সিদ্ধান্ত যদি কেউ অম্যান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আরো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক নাটোর জেলা সমিতি চলবে। এখানে কারো কোন একক সিদ্ধান্ত কার্যকর হবেনা।