নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নাটোর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি উমা চৌধুরী জলি,সরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে মোট ৩৫ হাজার কর্মহীন দিনমজুর, বস্তির দুস্থ,পত্রিকার হকারসহ কর্মহীন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রীর মানবিক সহায়তা প্রদান করছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল,তেল, আলু, লবণ, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। রাতের আঁধারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে মেয়র কখনো নিজে, কখনো স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন।করোনাকে উপক্ষা করে সকাল থেকে রাত্রী অবধি কর্মহীন দরিদ্র মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য ছুটে চলেছেন নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি।
তাঁর এই ছুটে চলা কর্মহীন দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি নাটোর শহরকে করোনা ও ডেংগু মুক্ত রাখতে নিয়মিত রাস্তা জীবানুমক্ত রাখার পাশাপাশি পৌরসভার ড্রেন ও নোংরা স্থানে জীবানুনাশক স্প্রে করা। করোনা শুরু হওয়ার পর একজন নারী হয়ে দিনরাত ছুটে চলেছেন শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত । পৌর এলাকার দক্ষিণ বড়গাছা গ্রামের জয়নাল হোসেন জানান, নাটোরের পৌর মেয়র জলি চৌধুরী প্রকৃতপক্ষেই একজন মানবিক মানুষ। তিনি শুধু এই করোনা মহামারিতে নয় সব সময় পৌর এলাকার যে কোনো ওয়ার্ডের, যে কোনো গ্রামের মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসেন। একই কথা বললেন উত্তর বড়গাছার নাছির উদ্দিন, চকবৈদ্যনাথের রমিজ উদ্দিন ও কানাইখালীর অয়েন উদ্দীন। মেয়র উমা চৌধুরী বলেন, নাটোর একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না। সেই লক্ষ্যে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগত উদ্যোগে দিনমজুর,অসহায়, বয়োবৃদ্ধ, কর্মহীন, প্রতিবন্ধী ও কর্মহীনদের ৩৫ হাজার প্যাকেট খাদ্য সামগী ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। এছাড়া নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপির মাধ্যমেই খাদ্য সামগ্রী আমার কর্মীদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।সরকারী ভাবে পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে তিনি এ যাবৎ বরাদ্দ পেয়েছেন ৫৭ মেঃটন চাল। কিন্তু ৩ লাখ জনসংখ্যার এই পৌরসভায় দীর্ঘ মেয়াদী এই লক ডাউনে এই বরাদ্দ যথেষ্ঠ নয়।
একারণে তিনি নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী কোন তালিকা নয় যেখানেই তিনি দরিদ্র মানুষকে দেখছেন অথবা কেউ জানাচ্ছেন সেখানেই তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন অথবা লোক মারফতে পৌছে দিচ্ছেন।তিনি বলেন, এ জন্য কোন তালিকা নয় যখন যেখানে যেমন প্রয়োজন সেভাবেই তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন। কাউকে কাউকে সহায়তা করছেন নগদ টাকা দিয়ে। প্রথমে পৌবাসীর মধ্যে ৪ হাজার আটশত লোক খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় চাল পেতেন। পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে ৮ হাজার ৪’শ করা হয়। বর্তমানে আবোরো ২ হাজার ৭’শ ২৪ জন মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া সরকারীভাবে ফ্রি ২০ কেজি করে চালের বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে সরকারের এসব কর্মসূচীর মাধ্যমে দরিদ্র মানুষদের খাদ্য সঙ্কট থাকবেনা। এছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকেই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন। সরকারের যে বরাদ্ধ তা বিভিন্ন কমিশনার ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে বন্টন করে দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি নিজ অর্থায়নে চাল, ডাল, তেল, সাবান কিনে ৫ কেজি চাল , হাফ কেজি ডাল, ১ কেজি আলু, হাফ কেজি তেল ও একটি করে সাবান দিয়ে ছোট ছোট ব্যাগ তৈরি করেছন। এসব ব্যাগ রেখে দেয়া হচ্ছে তার গাড়িতে। এরপর প্রতিদিন সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের মধ্যে পৌছে দিচ্ছেন। এমনকি লক ডাউন শিথিল করার পরেও চলছে তার ত্রাণ কার্যক্রম। যেখান থেকে ফোন আসছে সেখানেই খাদ্য নিয়ে পৌছে যাচ্ছেন উমা চৌধুরী জলি।
শুধু তাই নয় পৌরবাসীর ঘরে থাকার জন্য চালু করেছেন হোম ডেলিভারী সার্ভিস সেবা। পৌরসভার ব্যায়ে দুজন কর্মচারী ফোন পাওয়া মাত্র হাজির হচ্ছেন সেই বাসায়। নির্দ্দিষ্ট তালিকা ও টাকা বুঝে নিয়ে পণ্য কিনে বাসায় পৌঁছে দিচ্ছেন তারা। অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম জানান, মেয়র জলির মানবিক সহায়তা কার্যক্রম প্রশংসার যোগ্য। শহরবাসীর উদ্দেশে পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলনি বলেন, আপনারা নিজ ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন। আমাদের এ কার্যক্রমকে সহযোগিতা করুন। যেকোন প্রয়োজনে তার সাথে যোগাযোগ করুন।