স্টেপস ও গ্যাড অ্যালায়েন্স এর যৌথ পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট:
দেশে কোভিড-১৯ মহাদুর্যোগকালীন সময়ে মানুষের ঘরে আটকে পড়া, কাজ না থাকা, আয় রোজগার কমে যাওয়া, খাবারের সংকট, ঋণের চাপ সহ কোথাও কোথাও মাদকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবারে বাড়ছে দ্ব›দ্ব ও সংঘাত। ফলে বাড়ছে পারিবারিক নির্যাতন। এই নির্যাতনের শিকার হচ্ছে পরিবারের শিশু ও নারীরা। পাশাপাশি নারীরা হারাতে বাধ্য হচ্ছে তাদের ছোট ছোট পুঁজি, ব্যবসা ও তার দীর্ঘদিনের পরিশ্রম থেকে অর্জিত সম্পদ। ফলস্বরূপ তার উপর বাড়ছে ঋণের বোঝা। এ কারণে নারী যেমন পারিবারিকভাবে প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, তেমনি বাড়ছে তার অর্থনৈতিক সংকট এবং সামাজিক ঝুঁকি।
এসময়ে পারিবারিক নির্যাতন ও মাদক রিরোধী চলমান সামাজিক আন্দোলন না থাকায় নারীদের এগিয়ে চলার যে পদযাত্রা, গ্রামীণ অর্থনীতিতে তাদের যে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং পরিবারে তাদের যে অবদান তা ক্রমান্নয়ে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নারীর এতোদিনের সংগ্রামে অর্জিত সাফল্যসমূহ সংকুচিত হবার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট (স্টেপস্) এবং দেশের ১৮টি জেলার বেসরকারি সংগঠনের সম্মিলিত জাতীয় প্ল্যাটফরম বা ফোরাম জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যালায়েন্স (গ্যাড অ্যালায়েন্স)-এর যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি ৭ হাজার পরিবারের ওপর পরিচালিত এক নিবিড় পর্যবেক্ষণে এসব তথ্য উঠে এসেছে। উল্লিখিত পরিবারসমূহের মধ্যে ৪ হাজার ৫৫০টি পরিবারে নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর শতকরা হার হচ্ছে ৬৫%।
কোভিড-১৯ মহাদুর্যোগের সময়ে সকল প্রকার কাজ বন্ধ থাকার কারণে নারীদের এতোদিনের অর্জিত সঞ্চয় দিয়ে পরিবারের নিয়মিত খরচ চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নারীরা যখনই বাধা দিচ্ছে তখনই তার উপর নেমে আসছে বিভিন্ন রকমের নির্যাতন। পর্যবেক্ষণে আরও দেখা গেছে যে, নারীদের তিল তিল শ্রমে এবং মেধায় গড়ে ওঠা ছোট ছোট উদ্যোগ ও ব্যবসার পুঁজি এখন পরিবারের প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে খরচ করতে বাধ্য হচ্ছে, এর ফলে তাদের আগামীদিনের চলার পথ আরও সংকটময় হবে বলে তারা জানিয়েছেন। সবমিলিয়ে পরিবারে, সমাজে এবং রাষ্ট্রে নারীদের যে অর্থনৈতিক অবদান ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে তা কমে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও এসময়ে স্থানীয় পর্যায়ে গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ নানা ধরনের মাদকের সহজলভ্যতা ও এর ব্যবহার বেড়েছে বলে পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে।
স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট ও গ্যাড অ্যালায়েন্স যৌথভাবে ইয়ুথ ভলান্টিয়ারদের নিয়ে দেশের ১৮টি জেলায় ৫৪টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নের প্রায় ৭ হাজার পরিবারের ওপর গত ১৫ দিনব্যাপী (২৬ এপ্রিল থেকে ১০ মে, ২০২০) নজরদারি বা পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে উঠে আসা তথ্যের উপর ভিত্তি করে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
পর্যবেক্ষণসমূহ: ইয়ুথ ভলান্টিয়ার গ্রæপের সদস্যরা পর্যবেক্ষণের মধ্যে দিয়ে দেখতে পায় যে:
- ৭ হাজার পরিবারের মধ্যে ৪ হাজার ৫৫০টি পরিবারে নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষকরা লক্ষ্য করেছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই হচ্ছে শ্রমজীবী, নি¤œবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবার। উল্লিখিত পরিবারের মধ্যে প্রায় ৬৫ শতাংশ পরিবারের নারী ও শিশুরা বিভিন্ন ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন এবং পরিবারগুলোতে এ ধরনের ঘটনা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে।
- পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে লকডাউনের সময়ে মানুষের কর্মহীনতা ও আয় রোজগার না থাকার কারণে নারীর সঞ্চিত পুঁজি বা সম্পদ বিক্রয় করে পরিবার চালানোর চেষ্টা চলছে। এধরনের কাজে নারীরা বাধা দিলে তাদের উপর নেমে আসছে নির্যাতন। এসময়ে বাজারে নারীদের অভিগম্যতাও কমে যাচ্ছে।
- লকডাউন জনিত কারণে পুঁজি হারিয়ে মানুষ দিশেহারা। গ্রামীণ নারীদের ক্ষুদ্র ব্যবসা ও উদ্যোগগুলো অধিকাংশই ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এর পাশাপাশি পুরুষদের কর্মহীনতা অর্থনৈতিক সংকটকে আরো তীব্র করেছে।
- নারীরা জানিয়েছেন পরিবারে খাবারের যোগান অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহিত ঋণের টাকার মূল অংশ অথবা পুরোটাই খরচ করতে তারা বাধ্য হচ্ছেন। ফলে তাদের ছোট ছোট উদ্যোগসমূহ বাধার মুখে পড়ছে।
- পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে – কোথাও কোথাও মাদকসেবীরা টাকা যোগাড় করতে না পারার কারণে ঘরের আসবাবপত্র বিক্রির উদ্যোগ নিলে, পরিবারের সদস্যরা তাতে বাধা দিলে বাড়ছে নির্যাতন এবং তার শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা।
- বর্তমানের সংকটকালীন সময়ে সামাজিক সংগঠনসমূহ নির্যাতনের শিকার নারীদের পাশে দাঁড়াতে পারছে না। ফলে নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ দেখা যাচ্ছে না।
- পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে যে, মানুষের কর্মহীন হয়ে পড়া, হাতে টাকা না থাকা, খাবারের অভাব এবং পরিবারের নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় পারিবারিক দ্ব›দ্ব বাড়ছে।
- পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যে, শ্রমজীবী পরিবারগুলোর পুরুষ সদস্যরা কাজের প্রয়োজনে এসময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান করে শ্রম দিয়ে আয় করে থাকেন। অন্যদিকে নারী সদস্যরা তাদের ছোট ছোট উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে আয় করেন। জানা গেছে এ ধরনের যৌথ আয় থেকে বছরের একটা বড় সময় তারা পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করে থাকেন। লকডাউন জনিত কারণে এবার তারা এধরনের কাজ এবং আয় থেকে বঞ্চিত হলেন। ফলে পরিবারেও বাড়ছে আগামীর জন্য টেনশন।
- পর্যবেক্ষণকারীরা জানিয়েছেন- কর্মহীন হয়ে একদিকে মানুষের ঘরবন্দি থাকা, অন্যদিকে মানুষের সামাজিক যোগাযোগ কমে যাওয়ায়, তাদের মধ্যেকার সহনশীলতার মাত্রা কমে গেছে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত পরিবারের নানা প্রয়োজনের মুখোমুখি হয়ে তা মেটানোর সামর্থ্য না থাকার কারণেও পরিবারে নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে ।
- করোনাজনিত কারণে এসময়ে গ্রামীণ নারীরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে।
- কোথাও কোথাও প্রাপ্ত ত্রাণসামগ্রী কম মূল্যে বিক্রি করে মাদক ক্রয় ও ব্যবহারের তথ্য উঠে এসেছে এ পর্যবেক্ষণে।
- পর্যবেক্ষণকারীরা জানিয়েছেন বেসরকারি সংগঠনগুলোর ঋণ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নারীরা মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে পরিবারের নানা চাহিদা মেটাতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে বিশেষ করে নারীদের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার কবলে পড়তে হবে বলে তারা আশংকা প্রকাশ করেছেন।
- এই পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যে, ত্রাণ সংগ্রহে ব্যর্থ হবার কারণেও পরিবারে নারী ও শিশুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এর পাশাপাশি বাল্যবিবাহের প্রবণতা বাড়ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। করোনা-পরবর্তী সময়ে স্কুলগামী মেয়েশিশুদের ড্রপআউট এবং বাল্যবিবাহের হার বাড়বে বলে পর্যবেক্ষকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
- স্থানীয় পর্যায়ে মাদক সরবরাহ সহজতর হওয়ার কারণে একদিকে মানুষের আসক্তি এবং এর ব্যবহার বেড়ে চলেছে বলে জানা গেছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যে, কোথাও কোথাও মাদক ব্যবসায়ীরা বাকিতে মাদক গ্রহণকারীদের মাদক সরবরাহ করে স্টক শেষ করে নিজেদের নিরাপদ রাখছেন। ফলে বাড়ছে মাদকসেবীদের ঋণের চাপ। এটিও একটি পারিবারিক নির্যাতনের কারণ হিসেবে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন।
- গ্রামীণ জনপদে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নারীদের নামে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে, ইতিমধ্যে ঋণের টাকা পরিবারের প্রয়োজনে ব্যয় হয়েছে। সুতরাং আগামী দিনে কিস্তি বা মূল টাকা কীভাবে পরিশোধ হবে, সে বিষয়ে তাঁদের মধ্যে মানসিক চাপ বেড়ে চলেছে বলে পরিবার সমূহ জানিয়েছেন।
- বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাÐে ও প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থাকা নারীরা এই দূর্যোগকালীন সময়ে পারিবারিক চাপের কারণে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছেন না। ফলে এলাকায় তাদের গ্রহণযোগ্যতা কমছে। আগামীতে নারীদের বিভিন্ন কর্মকাÐে যুক্ত হবার বিষয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে বলে নারীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
- এসময়ে নারীদের অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণ এবং গর্ভপাতের ঘটনাও ঘটছে বলে পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে।
নির্যাতনের ধরন:
ইয়ুথ ভলান্টিয়ার গ্রæপের সদস্যরা পর্যবেক্ষণের মধ্যে দিয়ে পারিবারিক নির্যতনের যে সকল ধরন লক্ষ্য করেছেন:
পর্যবেক্ষণ-এর প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে পারিবারিক নির্যাতনের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, শারীরিক নির্যাতন, ঝগড়া, বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া, খেতে না দেওয়া, ঘরে আটকে রাখা, খারাপ ব্যবহার করা, নারীকে ত্রাণ সংগ্রহের কাজে ব্যবহার, খাবারের সংকটের কারণে শিশু-নারী নির্যাতন, অভাবের কারণে স্ত্রী ও সন্তানকে মারধর, শিশু নির্যাতন, তালাক। এছাড়াও পরিবারের প্রয়োজনে কিংবা স্বামীর চাপে নারীদের সর্বশেষ জমানো টাকা তাঁদের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। দেখা গেছে, বাপের বাড়ি থেকে টাকা বা খাবার আনার জন্য নারীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে, ফলে বাড়ছে তালাকের আশঙ্কা। এর পাশাপাশি নারীদের কাজের চাপ বৃদ্ধি পাওয়া ও বয়স্ক নারীদের প্রতি সংসারের অবহেলা বাড়ছে। এ ছাড়া এ সময়ে নারীরা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। কিছু এলাকায় এর মধ্যে বাল্যবিবাহের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পর্যবেক্ষণকালে গাইবান্ধা ও রংপুরে দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া গাইবান্ধায় আদিবাসী এলাকায় স্বামীর মাদকের টাকা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় নারীদের মারধরের শিকার হতে হচ্ছে। কোথাও কোথাও স্বেচ্ছায় যৌন পেশা গ্রহণ করার খবরও পাওয়া গেছে। এ ছাড়া এসময়ে অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণ ও গর্ভপাতের ঘটনাও ঘটছে বলে জানা গেছে।
পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষিত ও সময়কাল:
সাম্প্রতিক সময়ে পত্রপত্রিকায় নারী ও শিশু নির্যাতনের খবর প্রকাশিত হতে থাকলে স্টেপস্ এর কর্মএলাকায় ১৮টি জেলায় ৫৪টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নে প্রায় ৭ হাজার পরিবারের ওপর এ পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য ছিল, পর্যবেক্ষণকৃত পরিবারসমূহে নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে কি না, ঘটলে কতটি পরিবারে ঘটছে এবং এর ধরন ও কারণগুলো সম্পর্কে জানা।
লকডাউনের সময়কালে এ ধরনের সমীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা ছিল বেশ কঠিন। তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে মোবাইল ও ই-মেইল ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ের ইয়ুথ ভলান্টিয়াররা এ নিবিড় পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত ইয়ুথ ভলান্টিয়াররা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে যে যেখানে অবস্থান করছেন, সেখান থেকে তাঁর আশপাশের পরিবারগুলোর ওপর নজর রাখছিলেন। উল্লেখ্য যে, পর্যবেক্ষণকারীরা বিগত সময়ে নারীর মানবাধিকার বিষয়ে নিজ নিজ এলাকায় কর্মরত ছিলেন। মূলত পর্যবেক্ষণ নির্ভর হচ্ছে এই রিপোর্ট। গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১০ মে, ২০২০ এই পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
যে সব জেলায় এ পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়:
দেশের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, চুয়াডাঙ্গা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরিশাল, বরগুনা, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম জেলায় এ পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ফুটনোট: ১
নারী-পুরুষের সমতা, মানবাধিকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের ১৮ জেলার কর্মরত বেসরকারি সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে গঠিত ফোরাম হচ্ছে জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যালায়েন্স। এই অ্যালায়েন্স কেন্দ্রীয়ভাবে স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট সমন্বয় করে থাকে।