সারা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। বিশ্ব নেতারা যখন হাঁপিয়ে উঠছে করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে। বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই একের পর এক সরকারী নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে। তখন বাংলাদেশ সরকার সাধারন মানুষকে বাঁচাতে বিভিন্ন কর্মসুচি হাতে নিয়ে পরিশ্রম করে চলেছে। মানুষকে বাঁচাতে বাংলাদেশেও দেওয়া হয় সাধারন ছুটি। বন্ধ করে দেওয়া হয় মানুষের চলাফেরা সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। শুধু মাত্র জরুরী সেবা এই সাধারন ছুটির আওতামুক্ত থাকবে। সারাদেশে করোনা সংক্রমন রোধে চলছে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত সাধারন ছুটি। দেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন যখন মানুষের জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সকলকে নিজ ঘরে থাকার অনুরোধ করছেন। জণগনের জন্য কাজ করতে গিয়ে পুলিশ সদস্য করোনা ভাইরাসে প্রাণ দিয়ে চলেছে একের পর এক। ঠিক সেই সময় সরকারী নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোন রকম নিরাপদ দুরত্ব বজায় না রেখেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেছে নাটোরের জুয়েলাস সমিতির মালিকরা। সমিতির সাধারন সম্পাদকের দাবী তারা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক দোকান খুলেছেন। সরকারী সাধারন ছুটির বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে রাজী নয়। যার যার যে ভাবে খুশি সেভাবে দোকান খোলা রাখবে এখানে সমিতি কোন দায়ভার বহন করবে না। দীপা জুয়েলাসের মালিক উত্তম রজক বলেন, তিনি সরকারী দির্দেশনা মোতাবেক তার দুইটি প্রতিষ্ঠানই বন্ধ রেখেছেন। আজ সমিতির প্রায় সকল সদস্যই দোকান খোলা রেখে ব্যবসা করছেন। তাদের দেখে তিনিও দোকান খুলে সব পরিস্কার করে রাখলেন সরকারী সাধারন ছুটি শেষ হলে দোকান চালু করবেন এই জন্য। স্বর্ণবীথি জুয়েলাসের মালিক দেবাশীষ সাহা বলেন, সকলকে দোকান খুলে ব্যবসা করতে দেখে তিনি দোকান খুলে ধুয়ে মুছে পরিস্কার করছেন। পরিস্কার শেষে আবার বন্ধ করে দেওয়া হবে। তিনি ছোট দোকান মালিক দোকান খোলা রাখায় প্রশাসন যদি কোন জরিমানা করেন তাহলে তার জন্য বড় ক্ষতি হবে তাই তিনি সরকারী নির্দেশনা মেনে চলতে চান। পূজা জুয়েলার্সের মালিক বিপ্লব দেবনাথ বলেন, তিনিও দোকান খোলার পর জানতে পারলেন এটা সরকারী নির্দেশনায় দোখান খোলা হচ্ছেনা। তাই তিনি সরকারী নির্দেশনাকে সম্মান জানিয়ে তার দোকান বন্ধ করে দেন।
কথা হয় অনিমা জুয়েলাসে আসা এক ক্রেতা সাংবাদিক জুলফিকার হায়দার জোসেফের সাথে, তিনি বলেন তার এক আত্মীয়ের বিয়ের জন্য কিছু গহনা ক্রয় করতে হবে। সেকারনে তিনি এসেছেন। দোকান খোলা না থাকলে তিনি কিনতেন না। দোকান খোলা রয়েছে তাই গহনা নিতে এসেছেন। দোকান খোলার সিদ্ধান্তের বিষয়ে নাটোর জেলা জুয়েলার্স সমিতির সাধারন সম্পাদক ভবেশ চক্রবর্তি ভক্ত বলেন, তারা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঈদের দিন পর্যন্ত দোকান বন্ধ রেখেছেন। এখন তারা সমিতির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যার যার খুশি মত দোকান খোলা রাখবেন। প্রশাসন কোন জরিমানা বা অন্য কোন শাস্তি দিলে তা তাদের নিজের দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। এখানে সমিতি কোন দায়ভার বহন করবেন না। সরকারী সাধারন ছুটিকে অমান্য করে দোকান খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারী নির্দেশনা জানিনা সমিতির সকলে দোকান খোলার পক্ষে তাই খোলা হয়েছে। আর দোকান না খুলে কি হবে অনেক ব্যবসায়ী গোপনে তাদের ব্যবসা চালিয়ে চলেছেন। দোকন বন্ধ রেখে বাড়ীতেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেছে। ক্রয় বিক্রয় সবই করেছে তারা। এতে করে অনেক দোকান মালিক লাভবান হচ্ছে আর কিছু দোকান মালিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।