নাটোরের সিংড়া উপজেলার তাজপুর ও শেরকোল ইউনিয়নবাসীর দীর্ঘ দিনের অবহেলিত সড়কটি পাঁকাকরণের মাধ্যমে পূরণ হলো মানুষের প্রাণের দাবি। বদলে গেছে এলাকার লক্ষাধিক মানুষের জীবনমান। জানা গেছে, এলজিইডির বাস্তবায়নে তাজপুর থেকে নওগাঁবাজার ভায়া শাহাবাজপুর পর্যন্ত ৫.৭ কি.মি. এই সড়কটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। অতীতে এটি ছিল অবহেলিত ও চলাচলের অনুপযোগী একটি সড়ক। রাস্তাটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হওয়ায় বর্তমানে এটি প্রায় ১২টি গ্রাম ও আত্রাই উপজেলার সাথে সিংড়া উপজেলায় যোগাযোগের অন্যতম সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই সড়কটি পাঁকা হওয়ার ফলে ইতিমধ্যে সুফল পেতে শুরু করেছে এলাকাবাসী। এতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের জীবনমান পরিবর্তন ঘটবে।
এলাকাবাসী জানায়, বর্তমানে সিংড়ার সাথে তাদের যোগাযোগ সহজ হয়েছে এবং এই সড়কের ফলে কৃষকরা ধানসহ অন্যন্যে কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম পাবে। সহজে যাতায়াত করতে পারবে। এলাকার ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় উৎসাহ বাড়বে। স্থানীয় কয়েকজন জানান, অত্র এলাকা ছিলো খুবই অবহেলিত ও দূর্গম। এক হাঁটু কাঁদা মাটি পেরিয়ে সিংড়া পৌর এলাকা কিংবা তাজপুর বাজার যেতে হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলে কোনোরকম যানবাহন চলতো না। কৃষকদের নিদারুন কষ্ট করতে হয়েছে। বাজার থেকে পণ্য সরবরাহ ও ক্রয় করে বাড়ি আসতে মাথার ঘাম পায়ে পড়েছে। বর্তমানে খুব সহজে পণ্য সরবরাহ ও বাজারে যেতে পারছে তারা। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে যেতে হবে না। রোগীকে সহজে উন্নত সেবার জন্য নিয়ে যেতে পারবে। তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বলেন, এটি ছিল তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি।
এ অঞ্চলের জনগনের প্রাণের দাবি যেটি তা পূরণ হওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন এই সড়কের ফলে জনগণের সিংড়ার সাথে যোগাযোগ বেড়েছে এবং জনগণ প্রতিনিয়ত তার সুফল ভোগ করছে। সড়কটি হওয়ার ফলে জনগণের দীর্ঘ দিনের দূর্ভোগের অবসান হলো।
শেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ লুৎফুল হাবিব রুবেল জানান,অবহেলিত এ জনপদের মানুষ কখনো কল্পনা করতে পারেনি। কিন্তু মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তা বাস্তবতায়। এ সড়কটির ফলে এলাকার মানুষের আর্থ-সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং ব্যবসার উন্নয়ন ঘটবে। মানুষের দীর্ঘ দিনের দূর্ভোগের অবসান ঘটলো। এজন্য তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উপজেলা প্রকৌশলী হাসান আলী জানান, গ্রেটার রাজশাহী ডিভিশন উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় ৪ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বৃহত্তর এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সড়কটি টেকসই করার জন্য মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা তা বাস্তবায়ন করবো। তিনি আরও বলেন, সড়কটি বাস্তবায়নে আমরা চেষ্টা করেছি। সিসি বন্টক এবং প্রটেকশন ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কটির দু’ধারে বৃক্ষ রোপনের পরিকল্পনা রয়েছে।