ডেস্ক নিউজ
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ অ্যান্টিবডি কিট ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট’ বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর (ডিজিডিএ) থেকে নিবন্ধনের অনুমতি পাচ্ছে না। ‘সেনসিটিভিটি’ গ্রহণযোগ্য মাত্রায় না হওয়ায় এই কিটের নিবন্ধন না দিতে ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির কারিগরি উপকমিটির সদস্যদের সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিজিডিএ। তারা কিট নিবন্ধনে গণস্বাস্থ্যের আবেদন নামঞ্জুর করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) কেন্দ্রীয় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের (ডিজিডিএ) নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানিয়েছে, খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবেও বিষয়টি প্রকাশ করা হবে।
গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস গত ২১ জুন তাদের জিআর কোভিড-১৯ র্যাপিড ডট ব্লোট ইম্যুনেসারি কিটের নিবন্ধনের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরে আবেদন করে। এর আগে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কিটটির পারফরম্যান্স ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পারফরম্যান্স ট্রায়ালের রিপোর্টসহ গণস্বাস্থ্য অধিদফতরে আবেদন করে।
ডিজিডিএ সূত্র বলছে, এই কিটের সেনসিভিটি গ্রহণযোগ্য মাত্রায় না হওয়ায় কিটটির নিবন্ধন না দেওয়ার সুপারিশ করেছেন নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে গঠিত মেডিক্যাল ডিভাইস অ্যান্ড সার্জিক্যাল ইকুইপমেন্টসের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির টেকনিক্যাল সাব-কমিটির সদস্যরা। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিবডি কিটের নিবন্ধনের আবেদন নামঞ্জুর করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রাত সাড়ে ১০টার কিছু সময় আগে গণস্বাস্থ্যের র্যাপিড ডট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার বিষয়টিকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর দেশের এই জরুরি অবস্থাতেও বিএসএমএমইউয়ের কারিগরি কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করেনি এবং আমাদের অ্যান্টিবডি কিটের নিবন্ধন দেয়নি।’ এ বিষয়ে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ শিগগিরই জানানো হবে বলে জানান তিনি।
পরে গণস্বাস্থ্যের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একই বক্তব্য দিয়ে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়।