চন্দন লাহিড়ী।
নারীর ক্ষমতায়ন পৃথিবীব্যাপী একটি আলোচিত বিষয়। আর এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন। নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়া হচ্ছে এমন একটি বিষয় যার মধ্যে দিয়ে সামগ্রিকভাবে চলমান নারীর সামগ্রিক ক্ষমতা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরিবারে, সমাজে এবং রাস্ট্রে বাড়তে থাকে তার গ্রহণযোগ্যতা। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে সমাজ কাঠামোয় সিদ্ধান্তগ্রহণে নারীর যুক্ত হবার সম্ভাবনা তৈরি হয়। সাম্প্রতিক সময়ে উন্নয়নের পথে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তেমনি বাড়ছে নানা ক্ষেত্রে নারীর কার্যকর অংশগ্রহণ। তবে দেশের সব শ্রেণির নারীর ক্ষমতায়ন এখনো হয়নি। নারীর জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি দরকার পুরুষদের মানসিকতার পরিবর্তন ও সর্বাত্মক সমর্থন। উন্নত রাষ্ট্র গড়তে সব শ্রেণির নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নও জরুরি। আন্তজার্তিক কিছু সংগঠন নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন- নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মধ্যে দিয়ে নারীর অধিকার বৃদ্ধি পায় ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ে এবং সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় তার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এর ফলে নারী নিজে উপকৃত হবার পাশাপাশি পরিবারে এবং সমাজে অবদান রাখতে সমর্থ হয়। সহজভাবে বলা হয়েছে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন হচ্ছে জেন্ডার সমতা ও নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার কেন্দ্রবিন্দু। এক পরিসংখানে দেখা গেছে, বাংলাদেশে গত পাঁচ দশকে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ অনেক বেড়েছে। যেমন ১৯৭৪ সালে মোট শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ ছিল মাত্র ৪ শতাংশ। শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, সেটি বেড়ে ২০১০ সালে হয় ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ, আর ২০১৭ সালে হয় ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে এখনো ৪৪ দশমিক ২ শতাংশ ফারাক রয়েছে। আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, শ্রমশক্তিতে গ্রামাঞ্চলে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও শহরাঞ্চলে নারীর অংশগ্রহণ কমছে। যেমন গ্রামাঞ্চলে ২০১০ সালে শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণের হার ৩৮ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৭ সালে হয়েছে ৪২ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে শহরে নারীর কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের হার ২০১০ সালে ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০১৭ সালে ৩১ শতাংশে নেমে এসেছে।
নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে দৃশ্যমান। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য তৈরি হয়েছে নানা সংগঠন যেমন উইমেন চেম্বার। মহিলা বিষয়ক মন্ত্রনালয় থেকে শুরু করে এসএমই ফাউন্ডেশন, বেসরকারি উদ্যোগ মাইডাস এবং ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প সহ দেশের সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলো নানা নামে উইমেন ডেক্স তৈরি করে উদ্যোক্তাদের এসব উদ্যোগের অংশীদার হয়েছেন। যদিও ব্যাকিং আর্থিক সুবিধা থেকে বরাবরেই নারীরা বঞ্চিত হয়েছেন জামানত ও আমলাতান্ত্রিক নানা জটিলতার কারণে। নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, নেটওয়াকিং, পণ্য বিপনন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, আর্থিক সহায়তার জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করার লক্ষে মহিলা বিষয়ক মন্ত্রনালয় আলাদা ভাবে জয়িতা ফাউন্ডেশন তৈরি করেছে। ইতিমধ্যে যা সারাদেশে পরিচিতি পেয়েছে। অন্যদিকে একই মন্ত্রনালয়ের আওতায় জাতীয় মহিলা সংস্থা অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্প পরিচালনা করে আসছে। এর মাধ্যমে বেকারও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, আত্ম-নির্ভরশীলতা অর্জনে উদ্ধব্ধু ও সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি নারী সমাজকে মানব সম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে চেষ্ঠা অব্যাহত আছে। সরকারি বেসরকারি নানা উদ্যোগের ফলে সংকট আর অনিশ্চয়তায় ভর করে এগিয়ে যাচ্ছিল এই সেক্টর। ব্যবসার সাফল্যর ধারাবাহিকতায় স্থানীয় পর্যায়ের ক্ষমতা কাঠামোর সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রণের মাত্রাও ক্রমান্নয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে করোনাকালীন কারণে সংকটে পড়েছে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তারা। গত তিনমাস ধরে মানুষকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে কঠিন সময়। একদিকে অদৃশ্য ভাইরাসের ভয়ে মৃত্যু আতংক অন্যদিকে বন্ধ হেেয় গেছে মানুষের আয়ের সকল পথ। জীবন ও জীবিকার সংগ্রামে মানুষ দিশেহারা। এরকম একটি সময়ে দেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট (স্টেপস্) এবং জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যালায়েন্স (গ্যাড অ্যালায়েন্স)-এর যৌথ উদ্যোগে দেশের ১০ জেলায় সম্প্রতি চারশো জন ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। যা সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গেছে, করোনকালীন মহাদুর্যোগ মোকাবেলার জন্য ঘোষিত সাধারণ ছুটি বা লকডাউন এর পর থেকে ৮০ শতাংশ গ্রামীণ ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা তাদের চলমান ব্যবসা বা উদ্যোগ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। নানা সংকট মোকাবেলা করে বাকি ২০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী তাদের উদ্যোগ বা ব্যবসা পরিচালনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। গত মার্চ ২০২০ থেকে দেশে কভিড-১৯ ভাইরাস প্রতিরোধে শুরু হওয়া লকডাউনের কারণে অন্যসব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্যের মতো দেশের ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের কার্যক্রমও কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। জুন থেকে সীমিত পরিসরে জরুরি পরিষেবা কার্যক্রম, অফিস-আদালত ও ব্যবসা-বাণিজ্য চালু হলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তাদের নানান প্রতিবন্ধকতা ও নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে, যার ফলে তাদের এতদিনের শ্রমে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলি বন্ধ হয়ে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। গত মার্চ ২০২০ থেকে দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শুরু হওয়া লকডাউনের কারণে অন্যসব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্যের মতো দেশের ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের কার্যক্রমও কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। জুন থেকে সীমিত পরিসরে জরুরি পরিষেবা কার্যক্রম, অফিস-আদালত ও ব্যবসা-বাণিজ্য চালু হলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তাদের নানান প্রতিবন্ধকতা ও নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে, যার ফলে তাদের এতদিনের শ্রমে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলি বন্ধ হয়ে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এ সময়ে পরিবারের সদস্যদের খাবার যোগান দেয়া, নিয়মিত নানাবিধ চাহিদা মেটানোসহ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য গ্রামীণ পর্যায়ে ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তারা তাদের দীর্ঘদিনের অর্জিত সম্পদ এবং পুঁজি হারিয়েছেন। একইসাথে তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজার হারানো সহ তারা তাদের নিয়মিত ক্রেতা ও ব্যবসায়িক নেটওর্য়াকের বাইরে চলে এসেছেন। ফলে থমকে গেছে তাদের উদ্যোগ ও ব্যবসা। অন্যদিকে তাদের উপর বাড়ছে ঋণের বোঝা। গ্রামীণ অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের যে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং পরিবারে তাদের যে অবদান তা ক্রমান্নয়ে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জানা গেছে এসময়ে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের আয় না থাকার কারণে নারী উদ্যোক্তাদের উপর পুরো সংসারের দায় এসে পড়েছে। অন্যদিকে করোনাকালীন সময়ে স্থানীয় পর্যায়ের মার্কেট বন্ধ থাকা সহ মানুষের সীমিত চলাচলের কারণে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে না পারায় তাদের সংকটে পড়তে হয়েছে। গত বাংলা নববর্ষ এবং ঈদের সময় ক্রেতা না থাকায় তারা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় করতে পারেনি, অথচ বছরের এই দুটি উৎসবের সময়ই সাধারণত তাদের ব্যবসার মূল সময়। এর ফলে একদিকে কমেছে তাদের নিজেদের আয়, অন্যদিকে তাদের উৎপাদন সহযোগী গ্রামীণ অসহায় নারীদের মজুরি প্রদানেও ব্যর্থ হয়েছেন বলে তারা জানিয়েছেন। মূলত উৎসব কেন্দ্রিক এসব ব্যবসায় এবার ভাটা পড়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে তাদের এতোদিনের শ্রমে অর্জিত ছোট ছোট উদ্যোগ এবং ব্যবসা। ঘাড়ে চেপে বসেছে ঋণের বোঝা। সামাজিক কর্মকাÐে কমেছে তাদের অংশগ্রহণ। অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে তাদের পরিবারের শিশুদের শিক্ষাজীবনে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশ জানিয়েছেন তারা এ কভিড-১৯ সময়ে তাদের ব্যবসার ধারাবাহিকতার জন্য বাজার থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করতে পারেননি। ফলে তাদের উৎপাদনের ধারাবাহিকতা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। অন্যদিকে ৪৬ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা জানিয়েছেন এসময়ে যানবাহন বন্ধ থাকার কারণে অনেক কষ্টে চড়ামূল্যে বাজার থেকে কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করতে পেরেছেন। একারণে বর্ধিত উৎপাদন খরচে এসময়ে সীমিত আকারে উৎপাদন করলেও পণ্যের বেশি দামের কারণে ক্রেতাদের নিকট তারা পণ্য বিক্রয় করতে পারেননি। এই ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ জানিয়েছেন যে, ইতোমধ্যে তাদের নানা দায় মেটাতে স্থানীয় মহাজনদের নিকট থেকে চড়া সুদে ঋণ গ্রহণ করতে হয়েছে। ফলে ঋণের জালে তারা জড়িয়ে পড়ছেন। এছাড়াও দীর্ঘ সময়ে বাজারে না থাকার কারণে তাদের জায়গা বেদখল হয়ে যাবে বলে তারা আশংকা প্রকাশ করেছেন। নারীদের তিল তিল শ্রমে এবং মেধায় গড়ে ওঠা ছোট ছোট উদ্যোগ ও ব্যবসার পুঁজি হারানোর ফলে তাদের আগামীদিনের চলার পথ আরও সংকটময় হবে বলে তারা জানিয়েছেন। সবমিলিয়ে পরিবারে, সমাজে এবং রাষ্ট্রে নারীদের যে অর্থনৈতিক অবদান ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে তা কমে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের সহযোগি গ্রামীণ নারীরাও ইতোমধ্যে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের আয়ের উৎসও বন্ধ হয়ে গেছে। সুতরাং তাদের পরিবারও অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়েছে। শধুমাত্র গ্রামীণ নারী উদ্যোক্তারাই নয় দেশের সকল ক্ষুদ্র এবং মাঝারি নারী উদ্যোাক্তারাই করোনকালীন সময়ে সংকটে পড়েছেন বলে প্রতিদিন সংবাদপত্রে খবর বের হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আচমকা তারা তাদের ব্যবসা বন্ধের ঝুকিতে পড়েছেন। ফলে পরিবার থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে তাদের যে অংশগ্রহণ তৈরি হয়েছিল তা বাধাপ্রাপ্ত হবে বলে সকলে মনে করেন। আর এর সামগ্রিক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে নারী-পুরুষের সমতার সংগ্রামে। এই ইস্যুতে বাংলাদেশের যে অর্জন তা আজ কঠিন চ্যালেঞ্জের মূখোমূখি হয়ে দাড়িয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট সকলে।
সংকট আসবে এবং তা মোকাবেলা করেই সামনে আগাতে হবে। আর তাই এধরনের সংকট মোকাবেলার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার বলে জানিয়েছেন নারী উদ্যোক্তারা । এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- প্রণোদনার অংশ হিসেবে দেশে নারী উদ্যোক্তাদের সরকারিভাবে সহজ শর্তে ও বিনা সুদে ঋণ প্রদান করার পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে যে ঋণ গ্রহণ করেছিলেন তার সুদ মওকুফ করা। অর্থাৎ গত মার্চ থেকে আগামী ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত মোট ১০ মাসের ঋণের সুদ মওকুফ এর দাবী জানিয়েছেন তারা। ভবিষৎ ব্যবসা ও উদ্যোগসমূহ পরিচালনার জন্য যে সব নারী উদ্যোক্তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যে সঞ্চয় জমা করেছিলেন তাদের, সঞ্চয় ফেরত দিয়ে মূলধন হিসেবে পরবর্তীতে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে সহযোগিতা করা। যাতে করে তারা তাদের টাকা দিয়ে পুনরায় ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অন্যদিকে তাদের উৎপাদিত পণ্য যাতে পুনরায় বাজারে সহজে প্রবেশ করতে পারে সেজন্য সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণের উপর তারা জোড় দিয়েছেন। এছাড়াও প্রণোদনার অংশ হিসেবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের এককালিন সহায়তা প্রদান করে তাদের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখার উপর আবেদন জানিয়েন তারা। ক্ষতিগ্রস্ত নারী উদ্যোক্তাদের একটি তালিকা তৈরি করে তাদের প্রয়োজনের ভিত্তিতে সময় উপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারলে এই বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাবেন কয়েক হাজার নারী উদ্যোক্তা। এজন্য এগিয়ে আসতে হবে সরকারকে, একইসাথে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে বেসরকারি সংগঠনগুলোকে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় ঘুড়ে দাড়াবেন আমাদের দেশের নারী উদ্যোক্তার। আর এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীর দৃশ্যমান অংশগ্রহণ এবং অবদান ক্রমান্নয়ে শক্তিশালি হয়ে উঠবে। জোড়দার হবে নারী- পুরুষের সমতার সংগ্রাম। তাই এখনই প্রয়োজন নারী উদ্যোক্তাদের পাশে দাড়ানো।