ডেস্ক নিউজ
৩০ জুলাই পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাশুলে ছাড় পেতে যাচ্ছেন গ্রাহকরা। আগে মন্ত্রণালয় মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলে বিলম্ব মাশুল মওকুফ করে। এরপর মৌখিকভাবে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ৩০ জুনের মধ্যে বিল পরিশোধ করলে বিলম্ব মাশুল দিতে হবে না। বিতরণ কোম্পানিগুলো সেই নির্দেশনাই মান্য করছিল। কিন্তু ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে সারা দেশে সমালোচনা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই মাসে বিলম্ব মাশুল মওকুফ হবে কিনা সেই আলোচনা চলছিল।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, জরিমানা ছাড়া বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার সময় বাড়ানো হচ্ছে। আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত এ সময় বাড়ানোর ঘোষণা আসছে। এ বিষয়ে বিইআরসির মতামত পাওয়া গেলেই আদেশ জারি করা হবে।
বিইআরসি জানায়, বিতরণ কোম্পানিগুলো আবেদন করলে তারা সময় বাড়াবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এরইমধ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো বিইআরসির কাছে আবেদন করতে শুরু করেছে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিলম্ব মাশুল মওকুফ করেছিলাম। এরপর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের ভোগান্তি কমাতে তা বাড়িয়ে ৩০ জুন করা হয়। কিন্তু এখনও অতিরিক্ত বিলের ভোগান্তির অভিযোগ আসছে। বিইআরসির নির্দেশে বিতরণ কোম্পানিগুলো সেসব বিলের সমাধান করছে। ফলে জুন মাসে পেরিয়ে গেলেও অনেকে এখনও বিল দেননি। এ অবস্থায় আমরা আরও এক মাস জরিমানা ছাড়া বিল দেওয়ার অনুমোদন দিতে চাই। তবে কমিশন একা একা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কোম্পানিগুলোর আবেদনের ভিত্তিতে আমরা আদেশ দেবো।
এদিকে ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমির আলী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, তারা ইতোমধ্যে আবেদন করেছেন। আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত জরিমানা মওকুফের আবেদন করা হয়েছে। জুলাই মাস ৩১ তারিখ হলেও সেদিন শুক্রবার হওয়ায় ৩০ জুলাই পর্যন্ত গ্রাহকরা জরিমানা ছাড়া বিল দেওয়ার সুযোগ পাবেন। তিনি জানান, বিইআরসির কাছে তারা এ বিষয়ে আবেদন করার পাশাপাশি একটা কপি বিদ্যুৎ বিভাগেও পাঠিয়েছেন। তিনি জানান, গ্রাহক ভোগান্তি কমাতে যাদের অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ এসেছে এবং যাদের বিল পরে সংশোধন করা হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে আমরা এখনই জরিমানা নিচ্ছি না।
এছাড়া দেশের অন্য ৫ বিতরণ কোম্পানি ডিপিডিসি, নেসকো, ওজোপাডিকো, পিডিবি এবং আরইবি শিগগিরই আবেদন করবে বলে জানা গেছে। ডিপিডিসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আমরা এখনও আবেদন করিনি। তবে দুই একদিনের মধ্যেই আবেদন করবো। তবে এমনিতেই যারা অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ করেছেন তাদের কেউ কেউ জুনের মধ্যে বিল পরিশোধ করতে পারেননি। তাদের জরিমানার বিষয়টি আমরা এমনিই বিবেচনা করছি।