বগুড়ার নন্দীগ্রামে জমি বিক্রি করে বাপের বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দিতে রাজি না হওয়ায় রনি সরকার মারপিটের পর স্ত্রী সাথী খাতুনের (২১) মাথার চুল কেটে দিয়েছেন।
শনিবার বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাটলাল গ্রামে এ ঘটনার পর তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেয়ার পর তাকে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
জানা গেছে, রনি সরকার বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার হাটলাল গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান। প্রায় ৮ মাস আগে পার্শ্ববর্তী নাটোরের সিংড়া পৌর শহরের দমদমা গ্রামের মৃত আবদুর রহিমের মেয়ে সাথী খাতুনকে বিয়ে করেন।
সাথীর বড় ভাই সবুজ হোসেন জানান, বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছিল। কিছুদিন যাওয়ার পর রনি বাপের বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে আরও টাকা আনতে বলেন। রাজি না হওয়ায় তিনি সাথীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন। গত ৩-৪ দিন ধরে সাথী শারীরিকভাবে অসুস্থ। অনুরোধ করার পরও রনি তাকে ওষুধ এনে দেননি।
শনিবার বিকালে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বললে রনি ক্ষিপ্ত হয়ে মায়ের সামনে সাথীকে মারপিট করেন। বাধা দিলে শাশুড়িকেও মারধর করা হয়। এরপর রনি সাথীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
নির্যাতনের শিকার সাথী খাতুন জানান, স্বামী রনি সরকার এর আগেও বিয়ে করেছিল। সে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। মাদকসেবী রনি বিয়ের পর থেকে তার ওপর নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। সম্প্রতি সাবেক স্ত্রীর সঙ্গেও যোগাযোগ শুরু করে। বাপের বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে টাকা এনে না দেয়ায় তাকে মারপিটের পর চুল কেটে দেয়। এক কাপড়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি শওকত কবির জানান, গৃহবধূকে নির্যাতন ও চুল কেটে দেয়ার কথা শুনেছেন। ভূক্তভোগী মামলা করলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।