ভাল পোশাক তো দূরের কথা, ঠিকমতো বই খাতা কিনে দিতে পারেননি দরিদ্র ভ্যান চালক বাবা। পড়ালেখার খরচ দিতে না পারায় বন্ধুদের কাছ থেকে বই ধার নিয়ে নিজের পড়াশুনা চালিয়েছে। তিলে তিলে সীমাহীন কষ্টে বেড়ে উঠলেও দারিদ্র্যতার কাছে হার মানেনি অদম্য রোকনুজ্জামান রুমেট। চলতি বছর নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার লোকমানপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়েছে সে। তার বাড়ি বাগাতিপাড়ার পাঁকা ইউনিয়নের পূর্ব স্বরাপপুর গ্রামে। সোমবার রোকনুজ্জামান রুমেটের সাথে কথা হয়। সে জানায়, বাবা আলমাজ হোসেন ভ্যান চালিয়ে অভাব-অনটনের সংসারে দুই ভাই-বোনের পড়া লেখার খরচ চালাতে হিমশিম খায়ৃৃ। মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ালেখার খরচ কম থাকায় কোনভাবে চালিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে। কিন্তু উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সে শংকায় পড়েছে। ইচ্ছা ছিল রাজশাহী শহরের ভাল কলেজে ভর্তি হয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করবে। কিন্তু অর্থাভাবে সে আশা বোধ হয় আর পূরণ হয় না এমন অনিশ্চয়তার কথা জানায় সে। টিনের চালার কাঁচা ঘরের বাড়িতে থেকেই বড় হওয়ার স্বপ্ন পুরণের চেষ্টা করেছে রোকনুজ্জামান রুমেট।
এদিকে রোববার ৯ আগষ্ট থেকে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আর্থিক অনটনের কারনে সে ভাল কলেজে আবেদন করতে পারছেনা। ভালো কলেজে ভর্তি হয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন শেষে দেশের সেবা করতে চায় সে। কিন্তু সেই আকাংখা কিভাবে পূরণ হবে তা জানা নেই অদম্য মেধাবী রোকনুজ্জামানের। স্বপ্ন ভঙ্গের শংকায় এখন দিন কাটছে তার। বাবা আলমাজ হোসেন জানান, পড়ার প্রতি তার ছেলের ভীষণ ঝোঁক। কিন্তু ঠিকমতো অর্থ জোগান দিতে তিনি পারেননা। শহরে ভাল কলেজে পড়ালেখা করানো তার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ছেলে রোকনুজ্জামানকে গ্রামের কলেজে ভর্তি হতে বলেছেন।