ডেস্ক নিউজ
‘৭৫ খুনিদের মতো ২১ আগস্টের খুনিদেরও বিচারের রায় কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তিনি বলেছেন, ‘তারেক রহমানসহ বিদেশে পালিয়ে থাকা খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’
আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগ আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একাত্তরের লাখো শহীদের রক্তে যে মাটি ভিজেছিল, সে মাটি বঙ্গবন্ধুর রক্তে ভিজে ছিল পঁচাত্তরে। সে মাটিতে আবারও রক্তস্রোত, যা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে দেখলো, সেদিন গোধূলির রঙে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের রক্তে কীভাবে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ রক্তাক্ত হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে যা যা করার দরকার ছিল তার সবই করেছিল চারদলীয় জোট সরকার। বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে দিয়ে করা হয় এক সদস্যের কমিশন। সে কমিশন হাস্যকরভাবে এই হামলার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশকে দায়ী করে দায়িত্ব শেষ করে। এভাবে দেশের বিচার ব্যবস্থাকে তারা প্রহসনে রূপান্তরের অপচেষ্টা চালায়।’
গ্রেনেড হামলার বিচার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ইতিহাস বড় নির্মম। সেদিন যাকে টার্গেট করেছিল তার হাত দিয়েই শুরু হয় নির্মমতার বিচার। ঐতিহাসিক রায় হয়েছে, এখন উচ্চ আদালতে রয়েছে আপিল নিষ্পত্তির আশায়।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে পঁচাত্তরে এ দেশে হত্যার রাজনীতি শুরু হয়। স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে আপনি (শেখ হাসিনা) বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করে যাচ্ছেন। জাতির পিতার কন্যা হয়েও আপনার যে সংগ্রামী জীবন তা সমসাময়িক বিশ্বে বিরল। আপনাকে যারা স্বজনহারা করেছে, বারবার আপনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে, জাতির সবচেয়ে কষ্টের দিন জাতীয় শোক দিবসে ভুয়া জন্মদিনের কেক কেটে উপহাস করা হয়েছে। আপনি সবকিছু ভুলে বুকে কষ্ট চেপে বেগম জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জাতি বিস্ময়ে দেখেছে তার জবাব।’