ডেস্ক নিউজ
বঙ্গবন্ধুকে সব ধরনের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার আহ্বান জানিয়ে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও সংগ্রম নিয়ে আমাদের ভালোভাবে জানতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো বিতর্ক করার প্রয়োজন নেই। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তখনই বিতর্ক হয় যখন বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের লালনপালন করা হয়। বিতর্ক তখনই হয় যখন এই খুনিদের পুনর্বাসন করা হয়, যখন আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়। এই বিতর্ক থেকে যতদিন আমরা বেরিয়ে আসতে না পারব ততদিনই আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন, ৩০ লাখ শহিদের যে স্বপ্ন- সেই স্বপ্ন এখানে বাস্তবায়ন হবে। রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের স্বপ্ন এই বাংলাদেশে বাস্তবায়ন হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর প্রতি এটাই আমাদের ওয়াদা থাকবে।’
আওয়ামী লীগের এই তরুণ নেতা বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা যিনি একটি রাজনৈতিক দল সৃষ্টি করেছেন। সে রাজনৈতিক দলকে জনগণের দ্বারে দ্বারে নিয়ে গেছেন। তাদের একই পস্ন্যাটফর্মে এনে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন। এবং সেই দলের নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে। তার নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এটা পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়টি নেই।’
‘বাকশালের কর্মসূচিতে কিন্তু আওয়ামী লীগ একা ছিল না। তদানীন্তন যত রাজনৈতিক দল ছিল সবাই সেখানে গিয়েছিল। বাকশাল আওয়ামী লীগ বা অন্য রাজনৈতিক দলের মতো ছিল না। সেটা ছিল একটি সরকারি রাজনৈতিক দল এবং সেটার অনেক সহযোগী সংগঠন ছিল। সেগুলোর জাতীয় কমিটি ছিল।
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের সুসম্পর্কের কথা উলেস্নখ করে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা আগলে রাখতেন। আজকে আমাদের দায়িত্ব বাংলাদেশকে আগলে রাখা। গণমাধ্যম এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে মুক্তিযুদ্ধের সময়েও এখানকার মানুষ বিরোধিতা করেছে। নিজ দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের মানুষের বিরোধিতা করার ঘটনা দ্বিতীয়টি আমার জানা নেই। সেই অংশটি এখনো বাংলাদেশের বিরোধিতা করছে। তারা বিভিন্নভাবে বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার চেষ্টা করে।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ, সময়ের আলোর নির্বাহী সম্পাদক শাহনেওয়াজ দুলাল, ডিআরইউর সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমান বক্তব্য দেন।