ডেস্ক নিউজ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মদত ছিল। এটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার। গতকাল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমন্ডলীর যৌথসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৫ আগস্টকে জড়িয়ে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে বিএনপি মহাসচিবের এই অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জানতে চাই, খুনিদের কারা নিরাপদে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল? বাংলাদেশের বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়ে কারা তাদের পুরস্কৃত করেছিল? যাতে খুনিদের বিচার না হয় সেজন্য মোশতাকের ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করেছিল কারা? তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট এলেই বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায়। সত্য জাতির কাছে চাপা দিয়ে কারও কোনও লাভ নেই। জিয়াউর রহমানের এই ভ‚মিকা, ১৫ আগস্টের খুনিদের এসব সুবিধা কে দিয়েছিল নতুন প্রজন্ম এসবের জবাব চায়।
আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৫ আগস্টের ঘটনায় জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার বিষয়টি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল ফারুক, রশিদ, মাজেদরা মিডিয়ায় নিজেদের সাক্ষাৎকারে বলেছে। জড়িত ছিল বলেই খুনিদের পুনর্বাসন ও বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করতেই জাতির পিতার হত্যাকান্ডের ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ সংবিধানে পাস করে দায়মুক্তির বিধান করে জিয়া। ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পরীক্ষিত এই সত্যকে বিএনপি অস্বীকার করে কীভাবে?
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে আ.লীগের দলীয় কার্যক্রম সীমিত পরিসরে শুরু হচ্ছে। যেসকল জেলা উপজেলায় আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন হয়েছে সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে জমা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হল।