শ্রীলঙ্কা সংলগ্ন ভারত মহাসাগরের জ্বলন্ত তেলবাহী ট্যাঙ্কারটির আগুন এখনও নেভানো যায়নি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কা-ভারত দুই দেশই আগুন নেভাতে জোরালো তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেল এবং ডিজেল রয়েছে ওই ট্যাংকারে। ডয়চে ভেলে’র একটি প্রতিবেদনের এ তথ্য জানানো হয়েছে। এখনও ট্যাঙ্কার অক্ষত রয়েছে, তবে এটি ফেটে তেল বের হওয়া শুরু হলে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিপুল পরিমাণ তেল নিয়ে কুয়েত থেকে রওনা হয়েছিল নিউ ডায়মন্ড ট্যাঙ্কার। ভারতের পারাদ্বীপে যাচ্ছিল জাহাজটি। বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কা বন্দরের কাছে হঠাৎই এতে আগুন লেগে যায়। জাহাজের ২৩ কর্মীর মধ্যে ১৮ জন ফিলিপিনো এবং ৫ জন গ্রিক। আগুন লাগার পর তা নেভাতে গিয়ে দুইজন কর্মী আহত হন বলে জানা গেছে। তার মধ্যে একজন এখনও নিখোঁজ। পানামার ফ্ল্যাগ লাগানো একটি জাহাজ প্রাথমিকভাবে বাকিদের উদ্ধার করে। এরপরেই শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর ছোট ছোট নৌকা জাহাজের কাছে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে সে অভিযানে যোগ দেয় জাহাজ ও বিমান। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো জাহাজ ও বিমানযোগে অভিযান চালানো হয়েছে।
এখনও কোনও ট্যাঙ্কার থেকে তেল লিক করেনি। তবে যে কোনও সময় ট্যাঙ্কার ফুটো হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিবেশবাদীরা সতর্ক করে বলেছেন, সে ধরনের কিছু ঘটলে শ্রীলঙ্কার উপকূলীয় এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।শ্রীলঙ্কার নৌসেনার বক্তব্য, তেল লিক হলে তা মোকাবিলা করার মতো ব্যবস্থা তাদের নেই। ভারত এর মধ্যেই নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ পাঠিয়েছে। আরও দু’টি উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠানো হয়েছে। তেল লিক হলে ভারতীয় নৌ সেনারা সেটি মোকাবিলা করবে বলে জানা গেছে।
কিছুদিন আগেই জাপানের একটি ট্যাংকার থেকে তেল লিক করেছিল মরিশাসের কোরাল রিফে। ওই ঘটনায় কয়েক হাজার টন তেল পানিতে মিশে গেলে প্রকৃতির ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার নৌ সেনারা জানিয়েছে, ফের যাতে ওই ধরনের ঘটনা না ঘটে, তার দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।