তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে ১৯ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার ২৯৫ রানের টার্গেটে ৯ উইকেটে ২৭৫ রানে থেমেছে স্বাগতিকরা।
ওল্ড ট্রাফোর্ডের নরম ও ধীরগতির উইকেটে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ৭৭, মিচেল মার্শের ৭৩ ও মার্কাস স্টয়নিসের ৪৩ রানের যোগফলে দাঁড়ানো ২৯৫ রানের লক্ষ্য যে সহজ নয়, সেই আভাস পাওয়া গেছিল আগেই। বোলিং করতে এসেই সেটি ভালোই বুঝিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার জস হ্যাজলউড ও লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। প্রথম পাওয়ার প্লেতেই ওপেনার জেসন রয় ও জো রুটকে তুলে নেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ হ্যাজলউড। রয়কে (৩) নিজের বোলিংয়ে ক্যাচ বানান ৭ রানে, রুটকে(১) ১৩ রানে উইকেটকিপারের হাতে। ৫৫ রানে অধিনায়ক ইয়ন মরগান (২৩) ফিরে যান জাম্পার লেগস্পিনে। ১৭তম ওভারের প্রথম বলেই আবার জাম্পার অঘাত, এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের নায়ক বাটলার (১) আউট। ইংল্যান্ডের কোমর ভেঙে গেছে ওখানেই। পুরস্কার বিতরণীতে এসে মরগান সত্যটা স্বীকার করে নিয়েছেন, ‘ব্যাট হাতে ম্যাচটি সম্ভবত আমাদের জন্য শেষ হয়ে গেছিল ১০-১২ ওভারের মধ্যেই।’
তবে এখান থেকেও ম্যাচ যে বেরোয় না, তা নয়। সেজন্য অতিমানবীয় ইনিংস খেলা লাগতো জনি বেয়ারেস্টা ও স্যাম বিলিংসকে। তারা চেষ্টা করেছেন, পঞ্চম উইকেটে ১১৩ রানের জুটি গড়েছেন। তবে এটাও যথেষ্ট ছিল না। জাম্পার লেগস্পিনেই ৮৪ রানে ক্যাচ তুলে যখন বিদায় নিলেন বেয়ারস্টো, ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গেছে। বিলিংস নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করে অনেকটা কাছাকাছি নিয়ে শেষ করেছেন। এই ‘অনেকটা’ আসলে অ-নে-ক ব্যবধানের। ১০১ বলে সেঞ্চুরি করেছেন বিলিংস, ১৪টি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কায় ১১৮ রান করে আউট হয়েছেন ১১০ বল খেলে। এটা যদি আরও ১০ বল কম খেলে করতে পারতেন তাহলে অন্যরকম কিছু হতে পারতো। পারেননি বলেই অস্ট্রেলিয়ার জয়ে শুরু হলো তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।