নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের মেধাবী শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সুমাইয়া আত্মহত্যা করেছেন বলে ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে। এই ময়না তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে মানববন্ধন করেছে নিহত সুমাইয়ার পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের বলাড়িপাড়া এলাকায় সুমাইয়ার বাড়ির সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তারা ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যার ধারাবাহিকতায় আসামিরা জামিন পেয়েছে। তারা এর তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুন সুমাইয়ার মরদেহ হাসপাতালে ফেলে চলে যায় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এরপর রাতে সুমাইয়ার মা নুজহাত বেওয়া বাদী হয়ে সুমাইয়ার স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ী ও ননদ সহ চারজনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরদিন শ্বাশুড়ী সৈয়দা বেগম ও ননদ যুথি খাতুনকে গ্রেফেতার করে পুলিশ। এরপরে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থেকে স্বামী মোস্তাক হোসেন ও রাজশাহীর চারঘাট থেকে শ্বশুর জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর থেকে অভিযুক্তরা কারাগারে ছিল। গত বুধবার নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রহমান এর আদালতে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এর প্রেক্ষিতে আদালতে তাদের জামিনের আবেদন করলে বিচারক সুমাইয়ার স্বামী মোস্তাক হোসেনের জামিন না মঞ্জুর করে অন্যদের জামিন প্রদান করেন।