নদী ভাঙ্গন রোধ ও হাওর এলাকা রক্ষায় এইসব স্থানে ৯৭৪টি বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মাধ্যমে ৮০৩ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া দেশব্যাপী সাম্প্রতিক বন্যায় নদী ভাঙ্গনরোধ এবং বাপাউবো’র বাঁধ ও অন্যান্য অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতির প্রেক্ষিতে সেপ্টেম্বর মাসের আগ পর্যন্ত প্রায় ১১৭ কিলোমিটার বাঁধ মেরামতের কাজও দ্রুত চলমান।
জাতীয় সংসদ ভবনে গতকাল রবিবার অনুষ্ঠিত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১১তম বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়। বৈঠকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও কমিটি সদস্য জাহিদ ফারুক, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ও কমিটি সদস্য এ কে এম এনামুল হক শামীম, মো. আফজাল হোসেন, সামশুল হক চৌধুরী, মো. নজরুল ইসলাম, মো. ফরিদুল হক খান এবং নুরুন্নবী চৌধুরী অংশ নেন। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ সচিবালয় জানায়, বৈঠকে ডেলটা প্লানের অধীন বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলা মিলে মোট ছয়টি জেলায় ৪৯টি প্যাকেজের মাধ্যমে ২০৫ কিলোমিটারের অধিক স্থানে নদী খননের অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী সাম্প্রতিক বন্যায় নদী ভাঙ্গনরোধ এবং বাপাউবো’র বাঁধ ও অন্যান্য অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতির প্রেক্ষিতে প্রায় ১১৭ কিলোমিটার বাঁধ মেরামতের প্রতিবেদনও উপস্থাপন করা হয়। কমিটি চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুততম সময়ে শেষ করার তাগিদ দিয়েছে। এছাড়া নদী ভাঙ্গন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণ এবং মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করার সুপারিশ করা হয় বৈঠকে।