একের পর এক ভারতের বিভিন্ন জায়গা নিজেদের দাবি করে বিশ্ব মিডিয়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে নেপাল। গ্রেটার নেপাল এবার বাদ দেয় নি বাংলাদেশকেও। নেপালের জাতীয়তাবাদী সে সংগঠন এরই মধ্যে বাংলাদেশের দুইটি জেলা নিজেদের দেখিয়ে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে।
গ্রেটার নেপাল নামে সেই ম্যাপে বাংলাদেশের দিনাজপুর ও রংপুরকেও সেই ম্যাপে পাকিস্তান অধিকৃত নেপালের অংশ বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতের সিকিম, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, দিনাজপুর ছাড়াও পাটনা, কাটিহার, পূর্ণিয়া সহ বিহারের প্রায় গোটা অংশ, সিমলা, উত্তর কাশী, দেরাদুনকেও নেপালের এলাকা হিসাবে দেখানো হয়েছে।
ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম দাবি করে, সেদেশের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে গত এক বছরে চারবার চীনে গিয়ে বৈঠক করে এসেছেন জিএনএনএফ-এর চেয়ারম্যান ফণীন্দ্র নেপাল। এমনকি চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে তার। ফলে গ্রেটার নেপালের নামে ম্যাপ প্রকাশের পিছনে চীনের মদত রয়েছে বলেই মনে করছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই বিষয়টি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কেও জানানো হয়েছে বলে খবরে বলা হয়।
সংগঠনটি নেপালে এনজিও হিসাবে নথিভুক্ত আছে। ভারতের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবকে চিঠি লিখে সংগঠনটি প্রচারের আলোয় আসে।
এর আগে ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল নেপালের সব থেকে বড় মিডিয়া গ্রুপ কান্তিপুরের একটি সাপ্তাহিক প্রকাশনায় ‘গ্রেটার নেপাল নিয়ে সবুজ সংকেত দিল চীন’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সীতারাম বড়াল নামে এক সাংবাদিক সেই প্রতিবেদনে ফণীন্দ্রর চীন যাওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনেন। সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বেইজিংয়ে আমন্ত্রণেই ফণীন্দ্র সেদেশে গিয়েছিলেন।
চীনের শীর্ষস্তরের কমপক্ষে ৫০ জন কর্মকর্তার সঙ্গে গত এক বছরে ফণীন্দ্র বৈঠকে বসেছিলেন বলে দাবি করা হয় প্রতিবেদনে। চীনে গিয়ে গ্রেটার নেপালের ম্যাপও বিভিন্ন দপ্তরে দিয়ে এসেছেন জিএনএনএফ চেয়ারম্যান।