নিউজ ডেস্ক :
হঠাৎ ছন্দপতনে দেশের রাজনীতিতে বিএনপির যে দৈন্যদশা দেখা দিয়েছে সেটির জন্য কেবল মাত্র বেগম জিয়ার অদূরদর্শিতা ও রাজনৈতিক জ্ঞানের অভাবকে দায়ী করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এছাড়া তারেক রহমানের সীমাহীন লুটপাট, বেগম জিয়ার উদ্দেশ্যহীন রাজনীতি, নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন করা, শিক্ষার অভাব, অহংকার এবং অতিরিক্ত পরিবার প্রীতির কারণে আজকে বিএনপি দেশের তৃতীয় শ্রেণির রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হয়েছে বলেও মনে করছেন তারা।
বিএনপির ছন্দপতন এবং রাজনৈতিক কক্ষপথ থেকে ছিটকে পড়ার জন্য দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব দায়ী বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক। পরিচয় গোপন করার শর্তে তিনি বলেন, বিএনপি একটা সময়ে দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল ছিল। কিন্তু দলটির চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার নির্বুদ্ধিতা, সিদ্ধান্তহীনতা, পরনির্ভরশীলতা, অশিক্ষা ও অতিরিক্ত বিদেশ নির্ভরতার কারণে বিএনপি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দেয়া, যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন, তারেক রহমানের অপরাধের বিষয়ে মুখে কুলুপ আটা, নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন, দেশের চেয়ে বেশি দল প্রীতি, দেশের মানুষের নার্ভ বুঝতে না পারার কারণে বেগম জিয়ার বিএনপি ব্যাক ফুটে চলে গিয়েছে। বেগম জিয়া কল্যাণমুখী রাজনৈতিক আদর্শ ধারণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তার আমলে সুবিধাবাদীরা মাথা চাড়া দেয়। যার কারণে বাংলাদেশ তৎকালীন সময়ে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়। সুতরাং বিএনপির যে অধঃপতন হয়েছে, তার জন্য কেবল বেগম জিয়াই দায়ী।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বেগম জিয়ার অল্প শিক্ষিত মানুষ। তাকে যে যেভাবে বুঝিয়েছে, তিনি সেভাবেই পরিচালিত হয়েছেন। অন্যের বুদ্ধি ধার করার জন্যই তার আজ এই পরিণতি হয়েছে। এছাড়া উনি যদি সময় মতো তারেক রহমানকে আটকাতে পারতেন তবে, আজকে বিএনপিকে এতটা দুর্নাম সইতে হতো না। বেগম জিয়া আসলে পুত্রের অপকর্মের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।