নিউজ ডেস্ক:
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বেশকিছু পণ্যের ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন কর বা মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। জাতীয় সংসদে চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেছেন তিনি। ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক এ বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে কৃষিখাতে প্রণোদনার জন্য কৃষি যন্ত্রপাতি যেমন- পাওয়ার রিপার, পাওয়ার টিলার অপারেটেড সিডার, কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার, লোলিস্ট পাম্প, রোটারি টিলারের ওপর স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি দেওয়াসহ নারী উদ্যোক্তা পরিচালিত ব্যবসায় শো-রুমের ওপর মূসক অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমবে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (বেজা) বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাস, যোগানদার ও বিদ্যুৎ বিতরণকারী সেবার উপর মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নির্মাণ সংস্থা, কনসালটেন্সি ও সুপারভাইজরি ফার্ম, যোগানদার ও আইন পরামর্শক সেবার উপর মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ক্ষেত্রে ফরোয়ার্ডার্স, ক্লিয়ারিং ও ফরোয়ার্ডিং সংস্থা, বিমা কোম্পানি, যোগানদার ও ব্যাংকিং সেবায়।
ক্যানসারের ওষুধের উপর রেয়াদি সুবিধা ছাড়াও স্বল্পমূল্যে অসুস্থ গরিব রোগীদের কাছে মেডিকেল গ্যাস সহজলভ্য করতে এসব পণ্যে আরোপিত রেগুলেটরি ডিউটি ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
স্থানীয় লিফট, রেফ্রিজারেটর, কম্প্রেসার, এয়ার কন্ডিশনার, মোটর, মোল্ড ও পাদুকা শিল্পকে সুরক্ষার জন্য এ খাতে উপকরণ আমদানিতে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত উপকরণ ও দেশে উৎপাদিত মোটরসাইকেলের শুল্ক কমানো হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমবে।