ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় বিকল্প দেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে প্রথম চালান এসেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। দ্রুত খালাসও হয়েছে। গত সোমবার মিয়ানমারের ৫৪ টন পেঁয়াজের ছাড়পত্র ইস্যু নিয়েছে আমদানিকারক কায়েল স্টোর। খালাসের অপেক্ষায় আছে পাকিস্তান থেকে আসা আরও ১১৬ টন।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র থেকে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৫৪ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য ৩২২টি অনুমতিপত্র (আইপি) নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। চীন, মিসর, তুরস্ক, মিয়ানমার, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, মালয়েশিয়া, সাউথ আফ্রিকা, ইউক্রেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ভারত ও পাকিস্তান থেকে এসব পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে আসা পেঁয়াজ দ্রুত খালাস দেওয়ার জন্য জরুরি ভিত্তিতে শুল্কায়ন কার্যক্রম করা হচ্ছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেঁয়াজের শুল্কায়ন করছেন তারা। সোমবার ২ কনটেইনার পেঁয়াজ খালাস হয়েছে। আরও ৪ কনটেইনার পেঁয়াজ পাকিস্তান থেকে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার এগুলোর শুল্কায়ন সম্পন্ন হয়েছে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের সূত্রে জানা গেছে, ৯টি কনটেইনারে ২৫৮ টন পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এর মধ্যে ‘কোটা এনগেরিক’ জাহাজে আসা ২ কনটেইনারে কায়েল স্টোরের ৫৪ টন খালাস হয়েছে বন্দর থেকে। সিঙ্গাপুরের ইন্দো সুয়েজ ট্রেডিং লিমিটেড এসব পণ্য রপ্তানি করে। অন্যদিকে ‘এক্স-প্রেস লোটসি’ জাহাজে তিনজন আমদানিকারকের ৭ কনটেইনার পেঁয়াজ এসেছে। চট্টগ্রামের গ্রিন ট্রেডের নামে পাকিস্তান থেকে চার কনটেইনারে ১১৬ টন এবং ঢাকার সজীব এন্টারপ্রাইজ এনেছে ৫৯ টন। একই প্রতিষ্ঠানের নামে ইউএই থেকে এসেছে ২৯ টন।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক আমাদের সময়কে বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের কারণে সংকট মোকাবিলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে কয়েকটি চালান খালাস হয়েছে। অপেক্ষায় আছে আরও কয়েকটি।
দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ। এখানকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজ সংকট কাটাতে বিকল্প দেশ থেকে পণ্য আসা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু পেঁয়াজ আড়তে প্রবেশ করেছে। ফলে সংকট ও দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।