নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার নদ নদীর ও বিলের পানি কমতে শুরু করায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। উপজেলার চারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার একাংশে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। বৃস্পতিবার সারারাতে ১ সেন্টিমিটার কমে বারনই নদীর পানি নলডাঙ্গা পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত কয়েক দিনে ভারী বর্ষণে ও উজানের ঢলে প্রতিদিন গড়ে ৬-৮ সেন্টমিটার হারে পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হওয়ায় তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলের ক্ষেত ও কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। বন্যা কবলিত হয়ে পানি বন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে নলডাঙ্গা পৌরসভার সোনাপাতিল গ্রাম ও মাধনগর,খাজুরা,পিপরুল ও ব্রহ্মপুর ইউনিয়নের ২০ টি গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ। কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৩ শত কাচাঁ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে ২০টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। সংকট দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি।
নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার তাসমিনা খাতুন জানান, গত বন্যায় এ উপজেলায় ফসল ডুবে ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা ক্ষতি হওয়ার পর তৃতীয় দফা বন্যায় কৃষকের ডুুুুবে গেছে প্রায় ১৫ হেক্টর সবজি ক্ষেতসহ ৩৫৬ হেক্টর জমির আমন ধান।
উপজেলা মৎস্য বিভাগ জানান, হঠাৎ বন্যার পানি চলে আসায় এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে মৎস্য চাষীদের প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এক মাস আগের বন্যার পানি যে হারে বেড়েছিল এই দফায় বন্যার পানি আগের তুলনাই তা ছাড়িয়ে গেছে। সরকারীভাবে বন্যার্তদের জন্য পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। আশে পাশের বিভিন্ন স্কুল,কলেজ ও মাদ্ররাসায় খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোতে আশ্রয় নেওয়া মানুষের মাঝে সরকারী ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা শুরু হয়েছে।