রোহিঙ্গাদের ভোটার করতে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। যার নেতৃত্বে স্থানীয় দালাল চক্র আর নির্বাচন কমিশনের কিছু কর্মকর্তা। ইসির কয়েক কর্মকর্তা-কর্মচারিকে আটকের পর তাদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে ঊর্ধ্বতনদের নামও। কিন্তু টিকিটিও ছোঁয়া যায়নি তাদের। যারা বরখাস্ত হয়েছেন তারাও আছেন বহাল তবিয়তে করছেন দাপ্তরিক কাজ কর্ম। ফলে দফায় দফায় তদন্ত করেও মিলছে না কোনো ফল।
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯। চট্টগ্রাম থেকে পাসপোর্ট নিতে গিয়ে আটক হন এক রোহিঙ্গা নারী। তার কাছ থেকে পাওয়া যায় একটি জাতীয় পরিচয়পত্র। ঐ রোহিঙ্গা নারীর হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার ঘটনায় টনক নড়ে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের।
নির্বাচন কমিশন তদন্তে নেমে পায় অবাক করা তথ্য। কমিশনের কিছু দুর্নীতিবাজ ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, কর্মকর্তা কর্মচারী ও দালাল চক্রের সমন্বয়ে এ অঞ্চলে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। অর্থের বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেওয়ার মিশন। ঐ ঘটনায় তাদের আটকসহ ও বরখাস্তও করা হয় নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারীকে।
তাদেরই একজন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের উচ্চমান সহকারি আবুল খায়ের। রোহিঙ্গাদের এনআইডি দেয়ার মামলায় দীর্ঘদিন জেল খেটে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন। বরখাস্ত হয়েও কাজ করছেন নিজ দপ্তরে।
সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহকারি মোজাফফর। তদন্ত কমিটির সুপারিশে বরখাস্ত হলে তিনিও দপ্তরে ছিলেন কর্মরত আছেন। বরখাস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারিরা বহাল তবিয়তে কাজ করায় অবাক নির্বাচন কমিশন সচিবও।
রোহিঙ্গাদের ভোটার করার মামলায় আটককৃতদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জবানবন্দিতে উঠে আসে জাতীয় পরিচয়পত্র বিভাগের পরিচালকসহ উর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তার নাম।
এ পর্যন্ত তিন দফায় তদন্ত হয়েছে, কোন ফল পায়নি নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে উচ্চতর তদন্ত কমিটি কাজ করছে চক্রের সদস্যদের ধরতে।