চীনা দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কাউন্সিলর লিউ ঝেনহুয়া বলেছেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের ৯৭ শতাংশ কর চীন শূন্য হারে অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক মঞ্জুর করায় বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা হ্রাস করবে। একই সঙ্গে কোভিড মহামারি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করবে।
শুক্রবার ঢাকার চীনা দূতাবাস জানায়, চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৪৫তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঢাকার চীনা দূতাবাসের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কাউন্সিলর লিউ ঝেনহুয়া একটি নিবন্ধ লিখেছেন।
তিনি বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক-বাণিজ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা দীর্ঘমেয়াদি ও সুস্থিত বৃদ্ধি বজায় রাখছে।
নিবন্ধে পরিবহণ, বিদু্যৎ, হাই-টেকনোলজি এবং অন্য কার্যকরী ক্ষেত্রে চীন-অর্থায়িত প্রধান অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলোকে সহযোগিতার ভিত্তি হিসেবে উপস্থাপন করে ঝেনহুয়া দেখিয়েছেন কীভাবে চীন বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অনুকূলে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
ঝেনহুয়া বলেন, ২০১৮ সালের অর্থবছর এবং এর পর পর তিনটি অর্থবছরের জন্য চীন থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের মোট প্রবাহ বাংলাদেশের সব এফডিআই উৎসের মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। এ তথ্যটি উলেস্নখ করে তিনি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতা আরও প্রসারিত ও গভীর হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে নিবন্ধে মন্তব্য করেন। বিশেষত তিনি উলেস্নখ করেন, গত ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশে উৎপাদিত ৯৭ শতাংশ কর সামগ্রীর ওপর চীন শূন্য হারে অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক মঞ্জুর করেছে, যা বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা হ্রাস করতে এবং কোভিড মহামারি পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করবে।
নিবন্ধে ঝেনহুয়া বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশে মানবসম্পদ উন্নয়নে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। চীন মহামারিকালীন বাংলাদেশিদের জন্য ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ পরিচালনার সম্ভাবনাটির বিষয়ে ভেবে দেখছে।
তিনি বলেন, অর্থনীতি, প্রযুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য হ্রাস, জনস্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়নের মতো অন্য ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। টেকসই উন্নয়ন অর্জনে চীন বাংলাদেশের জনগণের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে। দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা আরও উঁচু স্তরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রম্নতি ব্যক্ত করেন ঝেনহুয়া।