ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টা মামলা নিয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল ইসলাম নুরের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছে একটি সংগঠন।
নুরদের গ্রেফতারের দাবিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলার বাদীর অনশনের তৃতীয় দিন তার প্রতি সংহতি জানিয়ে এই কটাক্ষ করে ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠন। এর নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগের অনুসারী।
নুরদের বিরুদ্ধে মামলার বাদীর অনশনস্থলে বিকাল তিনটায় সমাবেশ করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, ‘জীবনেও দেখিনাই, ধর্ষকরাই ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। অথচ এরা এতই নির্লজ্জ যে কোনো সীমাই তারা রাখেনি।‘
গত ২০ সেপ্টেম্বর সাধারণ ছাত্র পরিষদের সভাপতি হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। নুরসহ আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনা হয় সহযোগিতার অভিযোগ।
আসামিদের বিরুদ্ধে পরে আরও দুটি মামলা করেন বাদী। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।
পরিষদ মামুনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ধর্ষণের ‘ছবি বা ভিডিও পাওয়া যায়নি’ জানিয়ে পরিষদের তদন্ত কমিটি দাবি করেছে, তারা ধর্ষণের প্রমাণ পায়নি।
নুর এই মামলাকে সরকারের ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়েছেন। সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করার দাবিতে আন্দোলনে সক্রিয় অংশও নিয়েছেন। আসামিদের গ্রেফতারে মামলার বাদীর দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘২৪ ঘন্টা সময় দিচ্ছি। যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বোন ন্যায়বিচার না পায়, আমরা কঠোর আন্দোলনে নামব।‘
সমাবেশ চলাকালে নেতা-কর্মীরা ‘ধর্ষক নুরু গংদের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে পুলিশ নীরব কেন?’, ‘সবাই যদি গ্রেফতার হয়, নুর-মামুন কেন নয়’ প্রভৃতি ব্যানার প্রদর্শন করে।
ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয় সমাবেশে।
সমাবেশে নোয়াখালী নারী নির্যাতন, সিলেটের এমসি কলেজে ধর্ষণ, পাহাড়ে আদিবাসী তরুণী ধর্ষণ, ছাত্রফ্রন্টের নেতার বিরুদ্ধে উঠা ধর্ষণের বিচার ও সিপিবি নেত্রী জলি তালুকদারকে নিপীড়নে জড়িতদেরকে শাস্তি নিশ্চিত করতে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল গঠনসহ চার দফা দাবি জানায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
সমাবেশ শেষে রাজু ভাস্কর্য থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মিছিলও করে বিক্ষোভকারীরা।