করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারিকালে বাবা-মা, কমিউনিটি ও স্বাস্থ্য সেবাসমূহ যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিল তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে মাসিক টিকাদান সেবা গ্রহণের হার কোভিড ১৯-এর আগের পর্যায়কে ছাড়িয়ে গেছে। এই অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। সোমবার ইউনিসেফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের উপ-প্রতিনিধি ভিরামেন্ডোনকা বলেন, ‘এটি বাংলাদেশ সরকারের একটি উলেস্নখযোগ্য অর্জন এবং এটি নিঃসন্দেহে হাজার হাজার শিশুর জীবন বাঁচাবে। এই গতি যাতে বজায় থাকে এবং কোনো শিশু যাতে বাদ না পড়ে তা নিশ্চিত করার জন্য টিকাদান প্রচেষ্টায় সহায়তা অব্যাহত রাখতে ইউনিসেফ প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ।’
ইউনিসেফ বলেছে, বাংলাদেশে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির লক্ষ্য হচ্ছে বছরে ৩৮ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়া। এপ্রিল ও মে মাসে দুই লাখ ৮৪ হাজারেরও বেশি শিশু পেন্টাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন মিস করেছে, যা মাসিক লক্ষ্যের এবং কোভিডের আগের পর্যায়ের প্রায় অর্ধেক। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অংশীদারদের সহায়তায় টিকাদান কর্মসূচি পুনরুজ্জীবিত করতে নিয়মতান্ত্রিক পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। টিকার মজুত এবং টিকাদানের সময়গুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
মহামারির কারণে ভীতি ও উদ্বেগ মোকাবিলা করে শিশুদের টিকা দিতে এবং তাদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে অভিভাবকদের উৎসাহিত করতে প্রচারাভিযান চালাতে সহায়তা করা হয়।