নিউজ ডেস্ক:
বেফাঁস মন্তব্য করে মাঠ গরম রাখাও বিএনপির একটি কৌশল বলে মনে করা হয়। কিন্তু সেই কৌশল অবলম্বন করতে গিয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১৯ জুন) ঠাকুরগাঁওয়ে এক সভায় বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ‘কোমর ভাঙা কমিশন’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এমন প্রেক্ষাপটে আইনত তিনি দণ্ডিত ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অবমাননা করায় তার শাস্তি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী বলেন, যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেশের জনগণ যেকোনো অভিযোগ আনতে পারেন কিন্তু প্রতিষ্ঠানকে অবমাননাকর কোনো বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অবমাননা করা দণ্ডনীয় বলেই বিবেচিত হয়। চাইলেই রাষ্ট্র অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দলীয় আক্রোশের কারণে যদি ওই দলের কোনো নেতা কোন স্বাধীন-সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অবমাননা করেন তবে কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
শুধু ব্যক্তি নয়, রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে বেফাঁস বক্তব্য দেয়া বিএনপির স্বভাবসুলভ আচরণে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, আজেবাজে মন্তব্য করে রাজনৈতিক মাঠ সরগরম করার চেষ্টা বিএনপির জন্য নতুন নয়। তবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অবমাননার জন্য তাদের শাস্তি নিশ্চিত করলে ভবিষ্যতে হয়তো তারা আর এমন করবে না। তাই দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে অন্যান্যরা এ বিষয়ে সচেতন হবে, শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। আমার নির্দেশনা হচ্ছে- মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিত।