নিউজ ডেস্ক :
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির দুটি শূন্য পদে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুন) নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে দলে আরো সিনিয়র ও বিজ্ঞ নেতাদের বাদ দিয়ে হঠাৎ করে এই দুজন নেতাকে মনোনয়ন দেয়ায় দলের অভ্যন্তরে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি কোটি টাকার বিনিময়ে স্থায়ী কমিটির পদ বিক্রি করার মতো গুঞ্জনও শুরু হয়েছে।
গুঞ্জনের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, স্থায়ী কমিটির শূন্য পদগুলো পূরণের লক্ষ্যে নতুন করে দুজনকে সদস্যপদ দেয়া হয়েছে। দলকে শক্তিশালী করে রাজপথমুখী করতে বিএনপির এই উদ্যোগের প্রশংসা করা বাদ দিয়ে অনেকেই ঘুষ, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলছেন। এটি গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হতে হলে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা এবং বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার লাগে। সেলিমা রহমান ও টুকুর এই এসব যোগ্যতা রয়েছে বলে আমি জানি। তবে টুকুকে নিয়ে দলে বিভক্তি রয়েছে। তাকে সব সময় রাজপথে পাওয়া যায় না। এছাড়া টুকু বিত্তশালী নেতা হওয়ায় সদস্যপদ পাওয়ার পেছনে অর্থের প্রভাব নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
এই বিষয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেন, স্থায়ী কমিটির মনোনয়ন নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বৃহৎ রাজনৈতিক দলে মতপার্থক্য থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে অর্থ ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ নিয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা পুরোপুরি সঠিক নয়। অনুদান ছাড়া তো রাজনৈতিক দল চলতে পারে না। বিষয়গুলো বুঝতে হবে।