কেউ ঋণনির্ভর না হয়ে, নিজস্ব উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল হবে। সরকার এমনটাই চায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমবায়ের মাধ্যমে নারীদের আরো সম্পৃক্ত করতে হবে।
শনিবার (৭ নভেম্বর) সকালে জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, দারিদ্র্য বিমোচন করতে প্রয়োজন সমবায়ী উদ্যোগ।
দেশে বর্তমানে ২৯টি ক্যাটাগরিতে সমবায় সমিতি রয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার। এগুলোর বিভিন্ন উদ্যোগে এখন কর্মসংস্থানের সুযোগে ভাগ্য বদলেছে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের।
টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আধুনিক গ্রাম সৃষ্টির জন্য বঙ্গবন্ধুর বহুমুখী গ্রাম উন্নয়ন নীতি কাজে লাগিয়ে ১০টি গ্রামে নেয়া হয়েছে বিশেষ পাইলট প্রকল্প। ফলে গ্রামেই নিশ্চিত হবে সরকারের ১৭টি দপ্তরের সেবা। চেষ্টা চলছে নগরের সুবিধা দেয়ারও।
সমবায়ের মাধ্যমে সমাজের চেহারা পাল্টে দেয়ার এমন উদ্যোগগুলোই আলোচিত হলো ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবসের অনুষ্ঠানে। ভার্চুয়াল পরিসরে এ বছর ৯টি সমিতি ও এক সমবায়ীর হাতে দেয়া হলো জাতীয় সমবায় পুরস্কার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সমবায়ের উন্মেষ ঘটাতে পারলে ত্বরান্বিত হবে দারিদ্র্য বিমোচন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রাম সমবায় আমি যদি গড়ে তুলতে পারি, বাংলাদেশে কোন দারিদ্র থাকবে না। তাৎক্ষণিক বড় লাভের আশা না করে এটা একটা স্থায়ী, উৎপাদনমুখী এবং লাভজনক প্রতিষ্ঠান হয় যেন প্রত্যেকটা মানুষ লাভের অংশ পায়। সেই চিন্তা ভাবনাটাই কিন্তু সমবায়ের সবথেকে প্রয়োজন। দারিদ্রতা সম্পূর্ণ নির্মূল হবে। যারা সমবায় করেন তাদের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।’
বেদে, তৃতীয় লিঙ্গ কিংবা চা শ্রমিকদের মতো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকেও সমবায়ে অন্তর্ভূক্ত করার তাগিদ দেন সরকার প্রধান।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘আমরা প্রত্যেককে আত্মনির্ভরশীল করতে চাই, কারণ ঋণ নিয়ে শোধ দিতে না পেরে কারও চালা ধরে টান দিচ্ছে, কারও গরু কেড়ে নিচ্ছে, কারও ভিটে ঘর বাড়ি কেড়ে নিচ্ছে, এগুলা যেন না হয়। তারজন্য আমরা ক্ষুদ্র সঞ্চয় এর ব্যবস্থা নিয়েছি। যার মাধ্যমে আমাদের দেশের মানুষ উপকৃত হবে। এক্ষেত্রে মহিলাদের আরও এগিয়ে আসা উচিত বলে আমি মনে করি।’
শীত মৌসুমে করোনা মহামারী বাড়ার শঙ্কায় সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন শেখ হাসিনা।