লালমনিরহাটের পাটগ্রামে কোরআন অবমাননার গুজব রটিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র মোহাম্মদ শহীদুন্নবী জুয়েলকে গণপিটুনি দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় সরকারের নীতি নির্ধারণী মহলে প্রতিবেদন দাখিল করেছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা।
প্রতিবেদনে জুয়েলের বিরুদ্ধে কোরআন অবমাননার প্রমাণ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনাকে বীভৎস ও মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে মসজিদের খাদেম, ডেকোরেটর মালিক ও ইউপি সদস্যকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসি কোনোভাবেই এ ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত শহীদুন্নবীর চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম পরিবারের পক্ষে গত শুক্রবার রাতে পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ২০-৩০ জনের নাম পরিচয় উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
একই দিন দ্বিতীয় মামলাটি করেন পাটগ্রামের বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত। এ মামলায় শহীদুন্নবীকে ছিনিয়ে নিতে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের দরজা-জানালা ভাঙচুরসহ আসবাবের ক্ষতি সাধনের অভিযোগ আনা হয়। এই মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া সরকারি কাজে বাধাদান ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অভিযোগে তৃতীয় মামলাটি করেন পাটগ্রাম থানার এসআই শাহজাহান আলী। এসব মামলার বিপরীতে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পুলিশ তদন্তের স্বার্থে এখন তাঁদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হয়নি।