নভেল করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ থাকা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে আচরণবিধি প্রকাশ করল ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় সাহায্যপ্রাপ্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ক্যাম্পাস খোলার বিষয়টি উপাচার্য ও সংশ্লিষ্ট প্রধানদের সিদ্ধান্তের উপরে ছাড়া হয়েছে। তবে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিতে ক্লাস চালুর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের উপরে নির্ভর করবে বলে ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
মাস্ক পরা, পারস্পরিক দূরত্বের মতো কোভিড-স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পাস খোলা যাবে বলে জানানো হয়েছে আচরণবিধিতে। তবে সেই কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় হতে হবে কন্টেনমেন্ট এলাকার বাইরে। কন্টেনমেন্ট এলাকার বাসিন্দারা এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে পারবেন না। যাঁরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন, তাঁদেরও কন্টেনমেন্ট এলাকায় যাওয়া উচিত নয়। ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ ডাউনলোডের কথাও বলা হয়েছে।
ইউজিসি বলেছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শাখায় স্নাতকোত্তর ও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। ফলে পারস্পরিক দূরত্ববিধি মেনে তাঁদের হাজির করানোটা সহজ। পড়াশোনা ও চাকরির কথা ভেবে চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদেরও আসতে দেওয়া যেতে পারে। তবে বিষয়টি নির্ভর করছে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের উপরে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে আটকে পড়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা পরিকল্পনা তৈরি রাখতে বলেছে ইউজিসি।
আচরণবিধিতে আরও বলা হয়েছে, একান্ত প্রয়োজন হলে তবেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোস্টেল খোলা যাবে। তবে হোস্টেলের এক রুমে একাধিক শিক্ষার্থী থাকাটা অনুমোদনযোগ্য নয়। করোনার উপসর্গযুক্ত শিক্ষার্থীদের কোনও পরিস্থিতিতেই হোস্টেলে থাকতে দেওয়া যাবে না।