করোনায় মারা যাওয়া চিকিৎসকের নাম ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে রোগীদের প্যাথলজি রিপোর্ট দিতো রাজধানীর শ্যামলীর হাইপোথাইরয়েড সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান। শনিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ারের বিপরীতে ২/১ নম্বর বাড়ির হাইপোথাইরয়েড সেন্টারে অভিযান চালান র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। পরে তিনি এই তথ্য জানান
হাইপোথাইরয়েড সেন্টারে ভুয়া ল্যাব পাওয়ায় অভিযান চালান র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সিলগালা করা হয় প্রতিষ্ঠান। দুই কর্মচারী সোহেল রানা ও রাসেল প্রতি জনকে দুই বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। মালিক আব্দুল বাকের পলাতক।
সারোয়ার আলম বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠান হার মানিয়েছে রিজেন্ট কিংবা জেকেজিকেও। ১০ বছর ধরে ল্যাব পরিচালনা করছে হাইপোথাইরয়েড সেন্টার। থাইরয়েডের নানা রিপোর্টসহ হেপাটাইটিস, ব্লাড কালচারসহ চলতো নানা পরীক্ষা। অথচ সেই ল্যাবের বেহাল দশা।’
তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটি প্যাথলজির রিপোর্ট দিতো করোনায় মৃত অধ্যাপক মনিরুজ্জামানের স্বাক্ষরে। অক্টোবরেও তার নাম ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। অথচ এই চিকিৎসক করোনায় প্রাণ হারান মে মাসের প্রথম সপ্তাহে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা বলছেন দুই একটা টেস্ট করা হলেও বাকিগুলো দেওয়া হতো অনুমান করে।
এছাড়া আরও মিলেছে চিকিৎসকের স্বাক্ষর করা অসংখ্য ভুয়া রিপোর্ট। হাইপোথাইরয়েড সেন্টার দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কুরিয়ারে স্যাম্পল সংগ্রহ করে মেইলে রিপোর্ট দিতো।