সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদাসীন বলছেন পরিবেশকর্মি ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা। তবে দায়িত্বশীলরা এ বিষয়টি দেখছেন বললেন রেলওয়ের উপ সহকারী প্রকৌশলী।
রবিবার (৮ই নভেম্বর) দুপুর ১টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও এলাকা অতিক্রম করে।দীর্ঘ ২৩ ঘন্টা পর সিলেটের সাথে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। কিন্তু আজও দুর্ঘটনায় লাইনচূত হওয়া জ্বালানী তেলের ওয়াগন থেকে তেল নির্গত হচ্ছে। আর সেই তেল সংগ্রহ করতে আশপাশ এলাকার মানুষের ভীড় জমেছে। যে যার মত করে বালতি,ডেগ,প্লাস্টিক জার ও ডামে তেল সংগ্রহ করছেন। কেউ নিজেদের প্রয়োজন মিটাতে আবার কেউ বিক্রয় করছেন এসব সংগ্রহ করা তেল। ঘটনাস্থলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ৪০ টাকা দরে তেল সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে তেল ক্রয় করছেন।
শ্রীমঙ্গল পরিবেশ কর্মি হৃদয় দাশ শুভ বলেন, লাইনচ্যুত ৭টি ওয়াগনের মধ্যে ৪টিতে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড এর জ্বালানী তেল ছিলো প্রায় এক লাখ ষাট হাজার লিটার। ওয়াগন থেকে এসব নির্গত তেল পরিবেশ ও প্রতিবেশকে চরম ক্ষতি করতে পারে। তবে স্থানীয়রা সংগ্রহ করে একদিক থেকে পরিবেশকে রক্ষা করেছেন।”
শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস এর স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন জানান, শনিবার দুপুরে শ্রীমঙ্গলে ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত রয়েছেন। স্থানীয়দের অসচেতনতার কারণে যেন অন্য কোন দুর্ঘটনা না হয়। তবে ওয়াগন থেকে তেল সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদাসীন বলে মনে করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উর্ধ্বতন উপ সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মনিরুল ইসলাম বলেন, “এসব বিষয় দেখার জন্য রেলওয়ের দুইটি বিভাগ রয়েছে। তারা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।”
শনিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও এলাকায় ট্রেনের ইঞ্জিনসহ তেলের ওয়াগনবাহী ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়।