কিশোরগঞ্জের ভৈরবের কালিকাপ্রসাদে শিশুদের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় এক পক্ষ অপর পক্ষের বাড়িঘর ভাংচুর ও সবজির জমি তছনছ করে।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ১২ জনকে উদ্ধার করে স্বজনরা ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। আহতদের মধ্যে ৩ জনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়। অন্যান্যরা এলাকায় চিকিৎসা নেয়।খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায় কালিকাপ্রসাদের মুতার বাড়ির দুই শিশুকে দুদিন আগে তুচ্ছ ঘটনায় মারধর করে টেকের বাড়ির শিশুরা। এ ঘটনায় টেকের বাড়ির লোকজন এলাকার মেম্বারকে সাথে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার জন্য মুতার বাড়ি গেলে তাদের বেধড়ক পিটায়। এ নিয়ে শুক্রবার উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় ঝগড়ায় জড়িত নয় এমন কিছু বাড়ি ঘর ভাংচুরের ঘটনাসহ সবজি জমি কেটে ফেলে একটি পক্ষ। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি।
ভৈরব থানার এসআই জয়নাল আবেদীন বলেন, সংবাদ পাই কালিকাপ্রসাদ পশ্চিম পাড়া টেকেরচর এলাকায় মারামারি হচ্ছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করে আমি ঘটনাস্থলে আসি। এসে দেখি মারামারির উদ্দেশ্যে অনেক লোক জড়ো হচ্ছে এবং ইটপাটকেল ছুঁড়ছে তারা। এ সময় এলাকার ইউপি সদস্যদের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে গুরুতর আহত হওয়ার কোন খবর পাওয়া যায়নি।