এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ঘোষিত বিক্রির আয় থেকে নিরীক্ষা, সার্টিফিকেশন, কমিশনিং, টেস্টিং প্রভৃতি ফি বাবদ ব্যয় করা যাবে।
স্থানীয় বাজারের জন্য পণ্য উৎপাদন করছে এমন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সেবা খাতের ব্যয় দেশের বাইরে পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সার্কুলার জারি করে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনেদেনের অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, দেশের রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। অনেক প্রতিষ্ঠান শুধু দেশের বাজারে বিক্রির জন্য পণ্যে উৎপাদন করে। যেমন, হন্ডা, স্যামস্যাং প্রভৃতি।
এসব প্রতিষ্ঠান প্রচলিত ব্যবস্থায় চলতি হিসাব থেকে বিদেশে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ ফি পাঠাতে পারে। এক্ষেত্রে আগের বছরের আয়কর বিবরণীতে ঘোষিত বিক্রয়ের এক শতাংশ অর্থ বিদেশে পাঠানো যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক এখন এ সুবিধা বাড়িয়ে অন্যান্য সেবা ব্যয় যেমন নিরীক্ষা, সার্টিফিকেশন, কমিশনিং, টেস্টিং প্রভৃতি ফি বাবদ ব্যয় করা যাবে বলে সার্কুলারে জানিয়েছে। এর জন্য কোনো অনুমোদন লাগবে না।
তবে রয়্যালটি, কারিগরি জ্ঞান বা সহায়তা ফি, ফ্রাঞ্চাইজি ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- বিডার অনুমোদন এবং অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের আবশ্যকতা থাকলে তা নিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
একই দিন অন্য এক সার্কুলারের মাধ্যমে সফটওয়্যার রক্ষণাক্ষেণ ফি বাবদ অর্থ বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রথমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়ার আবশ্যকতা তুলে দেয়া হয়। এক্ষেত্রে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোকে প্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
এই সুবিধাটিও স্থানীয় বাজারে টাকায় পণ্য বিক্রি করে এমন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য।
সার্কুলারে সংশ্লিষ্ট ফি পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য উৎসে কর, মূল্য সংযোজন কর ও অন্যান্য মসুল কর্তন ও পরিশোধের বিষয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বৈদেশিক লেনদেন ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত সময়োপযোগি করা হচ্ছে। নতুন নির্দেশনার ফলে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সেবা খাতের ব্যয় পরিশোধ সহজ হবে। তারা দেশে বিনিয়োগ করতে উৎসাহ পাবে।