নিউজ ডেস্ক :
সরকারবিরোধী আন্দোলন তরান্বিত করতে ঐক্যফ্রন্টের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বেগম জিয়ার মুক্তি, ছাত্রদলের অসন্তুষ্টি, জাতীয় সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত বিএনপির বৈঠক সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়ার বদলে নেতারা একে অপরকে দোষারোপ করায় তারেক রহমানের কড়া হুশিয়ারিতে কোন রকম ফল ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূতের বরাতে এমন তথ্যের বিষয়ে জানা গেছে।
বৈঠক সূত্র বলছে, শনিবার (২২ জুন) বিকালে ৫ টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বসেন। বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে যোগদান করেন তারেক। বৈঠকের শুরুতে বেগম জিয়ার মুক্তিতে নেতাদের অকর্মণ্যতা, ছাত্রদলের সৃষ্ট সংকটের পেছনে নেতাদের উসকানি, ঐক্যফ্রন্টের মতো নামসর্বস্ব জোট ছাড়ার বিষয়ে তারেক নেতাদের মতামত জানতে চাইলে প্রত্যেকেই ইনিয়ে-বিনিয়ে নিজের মতো করে কথা বলেন। নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকায় তারেক মির্জা ফখরুলদের তিরস্কার করেন এবং সময় থাকতে সব কিছু ঠিকঠাক করারও নির্দেশ দেন।
সূত্রটি আরো বলছে, বৈঠকের এক পর্যায়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ছাত্রদল নিয়ে সৃষ্ট সংকট দূরীকরণে মির্জা ফখরুলের ব্যর্থতার বিষয়ে তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারেক পাত্তা না দেয়ায় চুপসে যান গয়েশ্বর। এক পর্যায়ে মওদুদ আহমদ কাউন্সিলের মাধ্যমে শক্তিশালী, বুদ্ধিদীপ্ত ও সাহসী মহাসচিব নির্বাচন করার পরামর্শ দিলে বৈঠকে হইচই শুরু হয়ে যায়। এসময় তারেক নেতাদের কাউন্সিলের বিষয়ে দেশব্যাপী প্রচারণা, স্থায়ী কমিটি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রাথমিক সদস্য নির্বাচন, বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য বিশেষ ফান্ড গঠন করার পরামর্শ দিলে বৈঠকে উপস্থিতি নেতারা চুপ মেরে যান। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে কোন রকম সিদ্ধান্ত ছাড়াই তারেক পরবর্তীতে বর্ধিত সভার তারিখ জানাবেন, এই মর্মে বক্তব্য দিয়ে নেতাদের কাছ থেকে বিদায় নেন।