করোনার মধ্যেই আরও দুটি বিসিএসের প্রজ্ঞাপন আসছে। এর মধ্যে ৪২তম বিসিএসটি বিশেষ এবং ৪৩তমটি সাধারণ। ৪২তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে চিকিৎসক নেওয়া হবে ২ হাজার। আর ৪৩তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে।
জনপ্রশাসন ও পিএসসি সূত্র জানায়, আজ সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসিতে ৪৩তম সাধারণ বিসিএসের চাহিদা পাঠিয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মোট ১ হাজার ৮১৪ পদের চাহিদা পাঠিয়েছে। এতে শিক্ষায় নেওয়া হবে সবচেয়ে বেশি। এখানে পদসংখ্যা ৮৪৩টি। এ ছাড়া প্রশাসনে ৩০০, পুলিশে ১০০, পররাষ্ট্রে ২৫, অডিটে ৩৫, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪, সমবায়ে ২০, ডেন্টাল সার্জন ৭৫ জন এবং অন্যান্য ক্যাডারে ৩৮৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
৪২তম বিশেষ বিসিএসে ২ হাজার চিকিৎসকের নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে পিএসসি। পিএসসি সূত্র জানিয়েছে, বিশেষ বিসিএসে নিয়োগ দিতে হলে বিধিমালা সংশোধন করতে হয়। তারা সেই প্রক্রিয়া শেষ করেছে। বুধবার পিএসসি বিশেষ সভা আহ্বান করেছে, সেখানে ৪২তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত হবে। আর এর পরের সপ্তাহে ৪৩তম বিসিএসের বিষয়ে আলোচনা করবে পিএসসি।
এদিকে ৪১তম বিসিএসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার অপেক্ষায় আছেন সাড়ে চার লাখের বেশি প্রার্থী। গত বছরের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি।
এতে বিভিন্ন পদে ২ হাজার ১৩৫ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া ৪০তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নিয়েছে পিএসসি। এখন মৌখিক পরীক্ষার দিন ঘোষণার অপেক্ষায় আছেন প্রার্থীরা।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘করোনার মধ্যে ৪২তম বিসিএস থেকে ২ হাজার চিকিৎসক ও ৪৩তম বিসিএসে ১ হাজার ৮১৪ কর্মকর্তা নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে পিএসসিকে বলা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই এ নিয়োগের বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হবে।’
তিনটি বিসিএস নিয়ে পিএসসির কার্যক্রম কেমন হওয়া উচিত, এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, দুটি নতুন বিসিএসের খবর চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি সুখবর। এতে চাকরির বাজারে গতি আসবে। যেহেতু এখন দেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ, তাই পিএসসি সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৪১তম বিসিএসের পরীক্ষা নিয়ে নিতে পারে। প্রতিদিন সরকারের কর্মকর্তারা অবসর নিচ্ছেন। সরকারের কর্মকর্তা দরকার আছে। এটি মাথায় রেখে সব বিসিএসের কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
সর্বশেষ ৩৯তম বিশেষ বিসিএস নেওয়া হয় চিকিৎসকদের জন্য। এখান থেকে প্রথমে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে পিএসসি থেকে ৪ হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। পরে করোনার বিশেষ পরিস্থিতিতে এ বছর ৩৯তম বিসিএসের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে আরও ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয় সরকার।